ছন্দের শ্রেণিবিভাগ – বিষয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিষয়ের “ছন্দ ও অলঙ্কার” বিভাগের একটি পাঠ।
ছন্দের শ্রেণিবিভাগ
প্রাচীন ও মধ্যযুগের কবিরা ছন্দে বৈচিত্র্যের কথা ভাবতেন ছন্দের আকৃতিগত পার্থক্য থেকে। প্রকৃতিগত পার্থক্য তখন ছিলও না; আর তাঁরা এ বিষয়ে অবহিতও ছিলেন না। চোখের দেখা অর্থাৎ দৃষ্টিগ্রাহ্য অক্ষর থেকেই তাঁরা বিভিন্ন ছন্দের নামকরণ করেছেন। ছন্দের জাতিগত বৈচিত্র্য তখন ছিল না বললেই চলে।
তদ্ভব বা তানপ্রধান ছন্দই ছিল প্রধানত সর্বাধিক রচনার বাহন। দশ অক্ষরের চরণ ‘দিগক্ষরা’ এগারো অক্ষরের ‘একাবলী’, বারো অক্ষরের ‘দীর্ঘ একাবলী ক্বচিৎ ব্যবহৃত হতো। প্রধান ছন্দ ছিল ‘চতুর্দশাক্ষর পয়ার’, ৬+৬+৮ ‘লঘু ত্রিপদী’ ও ৮+৮+১০ ‘দীর্ঘ ত্রিপদী’।
ক্বচিৎ কেউ সংস্কৃত-প্রাকৃত বা তৎসম ছন্দ (মাত্রাবৃত্ত) বা ছড়ার ছন্দ (ধামালি / দেশি) ব্যবহার করেছেন। বলতে গেলে বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথই প্রথম ছন্দের প্রকৃতি-বিষয়ে সচেতনতার পরিচয় দিলেন। কিন্তু তিনিও খাঁটি বিজ্ঞানসম্মত প্রণালিতে ছন্দের শ্রেণিবিভাগ করে উঠতে পারেন নি।
ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ভন্ন ছন্দের নামকরণ করেছেন কাব্যিকভাবে। কিন্তু করা উচিত ছিল বিজ্ঞানসম্মতভাবে অধ্যাপক প্রবোধচন্দ্র সেনই প্রথম সার্থকভাবে এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বাংলার তিন জাতীয় ছন্দের নামকরণ করেন- ‘অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত’। এরপরে অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়সহ অপর বা অনেকেই অনেক রকম নাম, ব্যবহার করেছেন। নিচের ছকটি থেকে তার প্রমাণ পাওয়া যায়”:

আরও দেখুন: