Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ভাষণের আকার আকৃতি | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

ভাষণের আকার আকৃতি | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা , যথাসময়ে যেটুকু বলা যায় ভাষণের আকার সেটুকুই হবে। সাধারণত বেতার ভাষণ, উপস্থিত বক্তৃতা বা ভাষণ এ ধরনের হয়ে থাকে। সেমিনার, সভা-সমাবেশের ভাষণ দীর্ঘ হয়। মোট কথা ভাষণের মধ্যে আলোচ্য বিষয়বস্তুর মূল কথার উপস্থাপন থাকতে হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যে ভাষণ লিখতে দেওয়া হয় তা নম্বরের ওপর ভিত্তি করে লিখতে হবে। সাধারণত দুই থেকে তিন পৃষ্ঠা পর্যন্ত লেখা যেতে পারে।

ভাষণের আকার আকৃতি | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

(পরীক্ষার খাতায় ভাষণ লেখার নিয়ম) : পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাধারণত যে কোনো একটি বিষয়ের ওপর ভাষণ লিখতে বলা হয়।

নমুনা-১

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাধারণত প্রতিটি ভাষণের বিষয় উল্লেখ থাকে। সুতরাং, ভাষণের বিষয়ানুযায়ী সম্ভাষণ এবং মূল বক্তব্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন : ‘নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে একটি মঞ্চভাষণ তৈরি কর। . বো. ২০০০]:- এই ক্ষেত্রে পরীক্ষার খাতায় ভাষণটি লিখতে গেলে নিচের নিয়মানুসারে অগ্রসর হতে হবে- প্রথমত (সম্ভাষণ), ভাষণটি যেহেতু মঞ্চভাষণ তাই সম্ভাষণে ‘মাননীয় সভাপতি ও সমবেত সুধীমণ্ডলী’ লিখতে হবে। দ্বিতীয়ত (সূচনা), ভাষণ লিখতে গেলে অবশ্যই ভাষণের বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।

 

x

 

ভাষণের বিষয় অনুযায়ী বক্তব্য সম্পর্কে (যেমন : পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ইত্যাদি সাপেক্ষে) বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা, যুক্তিনির্ভর তথ্য ও এর প্রভাব (উপকারিতা, অপকারিতা ইত্যাদি) বা বিস্তার বর্ণনা করতে হবে। অর্থাৎ ভাষণের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে এবং ভাষণে সে-সব বিষয়কে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তৃতীয়ত (মূল বক্তব্য), ভাষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ভাষণটিকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে বা লিখতে হবে যেন, যে উদ্দেশে ভাষণটি দেয়া হল, সে উদ্দেশ্য যেন বাস্তবায়িত হয় এবং ভাষণের বিষয়টি শ্রোতা-দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়।

 

 

চতুর্থত (উপসংহার), সবশেষে উপসংহারে ভাষণের লক্ষ্য, আদর্শ, উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে শ্রোতা-দর্শকের উদ্দেশে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন ভাষণের মূল বিষয়টি সম্পর্কে শ্রোতা-দর্শক স্পষ্ট হতে পারেন। [আরো ভালোভাবে বোঝার জন্যে নিচের ভাষণগুলো লক্ষ করা ।

নমুনা-২

কখনো কখনো ভাষণের বিষয় এবং আয়োজিত অনুষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে যেমন : ‘কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোনো ছাত্রের ভাষণ উল্লেখ কর। [ঢা বো. ২০০০/- এই ক্ষেত্রে পরীক্ষার খাতায় উল্লিখিত ভাষণটি লিখতে গেলে নিচের নিয়মানুসারে অগ্রসর হতে হবে— প্রথমত, ভাষণটি যেহেতু কলেজ- আয়োজিত অনুষ্ঠান তাই সম্ভাষণে ‘মাননীয় অধ্যক্ষ, সম্মানিত অধ্যাপকমণ্ডলী ও সমবেত ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুগণ’ লিখতে হবে। দ্বিতীয়ত ও তৃতীয়ত, ওপরের নিয়মানুযায়ী লিখতে হবে। [আরো ভালোভাবে বোঝার জন্যে নিচের ভাষণগুলো লক্ষ করা ।

লক্ষ কর পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যেসব ‘ভাষণ” লিখতে বলা হয় তার বিষয় অনুযায়ী কয়েকটি ভাষণের নমুনা নিচে দেওয়া হল। এ ধরনের ভাষণের মূলকাঠামো একইরকম, শুধু বিষয়বস্তুর ভিন্নতা থাকে। শিক্ষার্থীকে ভাষণের বিষয়বস্তু মুখস্থ না করে, তার বিষয় ও কাঠামো বোঝার চেষ্টা করাই বাঞ্ছনীয়। ভালো ভাষণ লিখতে হলে, নিয়মিত সংবাদপত্র পাঠ, রেডিও-টিভির সংবাদ শোনা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই পড়তে হবে। ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্যে শিক্ষার্থীরা এ-বইয়ের রচনা, চিঠিপত্র অংশে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে যে-বর্ণনা দেয়া হয়েছে, তা পড়লে যে-কোনো ভাষণ লিখতে পারবে বলে আশা করা যায়।

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যেহেতু যে-কোনো বিষয়ের ওপরে ভাষণ লিখতে দেয়া হয়, তাই নির্দিষ্ট সংখ্যক ভাষণ উপস্থাপন করলেই যে পরীক্ষায় কমন পড়বে এমনটি বলা যায় না। সুতরাং, অযথা পৃষ্ঠা না বাড়িয়ে, নিচে ভাষণের বিষয়ানুযায়ী কয়েকটি নমুনা দেখান হল:

আরও দেখুন:

Exit mobile version