Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

সুজনে সুযশ গায় কুযশ ঢাকিয়া | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

সুজনে সুযশ গায় কুযশ ঢাকিয়া | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা , ভাবসম্প্রসারণ করার সময় সেই গভীর ভাবটুকু উদ্ধার করে সংহত বক্তব্যটিকে পূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। সেই ভাব রূপক-প্রতীকের আড়ালে সংগুপ্ত থাকলে, প্রয়ােজনে যুক্তি, উপমা, উদাহরণ ইত্যাদির সাহায্যে বিশ্লেষণ করতে হবে।

সুজনে সুযশ গায় কুযশ ঢাকিয়া, কুজনে কুরব করে সুরব নাশিয়া

‘সু’ এবং ‘কু’ এদের পার্থক্য চিরন্তন। একটি অপরটির বিপরীত। যা ভাল, যা সুন্দর ও কল্যাণকর তা-ই ‘সু’। আর যা খারাপ ও ক্ষতিকর, অমঙ্গলজনক তা-ই ‘কু’। আমাদের সমাজে এই দুশ্রেণীর লোক দেখা যায়। মহৎ-ব্যক্তিগণ অন্যের দোষত্রুটি গোপন রেখে ভালদিকটা প্রচার করে থাকেন। পক্ষান্তরে, হীনব্যক্তি অন্যের ভালদিক গোপন রেখে মন্দের দিকটা প্রচার করে থাকে।

 

 

মানুষের আচরণে তার নিজস্ব মানসিকতা বা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। কৃতকর্মের মধ্যেই তার স্বাভাবিক পরিচয় প্রকাশ পায়। উত্তম চরিত্রের কোন মানুষই কারও দোষ খোঁজে না এবং অপযশও প্রচার করে না। বরং মহৎ ব্যক্তি অপরের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রেখে তার সুনাম করে। এ ধরনের আচরণে তার মহত্ত্বের প্রকাশ ঘটে। সুজন বা ভালমানুষ নিজের সুন্দর মনের বিবেচনায় অপরের মধ্যে খারাপ কিছু দেখতে পায় না। সে নিজে ভাল বলেই অপরকেও ভাল দেখে।

 

 

অপরদিকে কুজন বা খারাপ প্রকৃতির মানুষ অপুরের ভাল দেখতে পারে না। সৎ চরিত্রের লোক যেখানে অপরের কুৎসিত স্বভাবকে গোপন রাখে সেখানে মন্দ চরিত্রের লোকেরা ভাল দিকটি গোপন রেখে মানুষের খারাপ বা দুর্বল দিকটি স্পষ্ট করে তোলে। সে অপরের ভাল কাজকেও খারাপ বলে প্রচার করে থাকে। তার দৃষ্টিতে সুন্দর কিছু ধরা পড়লেও, তার প্রশংসা করতে সে কুণ্ঠিত হয় এবং অপযশ প্রচারে লিপ্ত হয়। কারণ, কারও ভাল কিছু প্রত্যক্ষ করা তার স্বভাববিরুদ্ধ।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

অপরের দোষ ধরাই তার ধর্ম। তাই প্রবাদ রয়েছে— ‘সজ্জন গুণ খোঁজে, দোষ খোঁজে পামর / মক্ষিকা ভ্রুণ খোঁজে, মধু খোঁজে ভ্রমর।’ তেমনি সুজন মানুষের শুধু সদগুণাবলি এবং কুজন শুধু দোষই খুঁজে পায় ।সংসারে সুজন ও কুজন বা ভাল ও মন্দ উভয় শ্রেণীর মানুষই বসবাস করে। তাদের আচরণ থেকে তাদের পরিচয় নির্ধারণ করতে হবে এবং কুজনকে সর্বান্তঃকরণে পরিহার করতে হবে।

আরও দেখুন:

Exit mobile version