শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে ছোট ভাইকে চিঠি | পত্র বা চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা , কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে মানব মনের কোনো ভাব, সংবাদ, তথ্য, আবেদন ইত্যাদি অপরের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে, তাকে সাধারণভাবে পত্র বা চিঠি বলে।
শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে ছোট ভাইকে চিঠি
কলেজ ছাত্রাবাস, বগুড়া
১৫ জুন, ২০০০
স্নেহের ‘ক’
আমার অনেক অনেক স্নেহ নিও। গতদিন মায়ের হাতে লেখা একটা চিঠি পেয়ে খুবই উদ্বিগ্ন হলাম। আমি আসার পর, তুমি নাকি আর আগের মতো লেখাপড়ায় মনোযোগী নও। তোমাকে আব্বু মাঝে মাঝে সাংসারিক ছোটখাট কাজে নিয়োজিত করে বলে তুমি লেখাপড়ায় ফাঁকি দেবে, এটা তোমার কাছ থেকে আমি কখনোই প্রত্যাশা করি নি। সে যাক, আজ যে কটি কথা লিখছি তা মনোযোগ দিয়ে পড়বে এবং স্মরণ রাখবে বলে আমার বিশ্বাস- পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান তার সবই ক্ষণস্থায়ী এবং তাদের পরিবর্তন ও ক্ষয় অহরহ। যে জিনিসটি ক্ষণস্থায়ী নয়, যার ক্ষয় নেই বরং বিকাশ আছে, তা হল জ্ঞান। জ্ঞানই মানুষের চরম, পরম ও একান্ত নিজস্ব মহামূল্যবান সম্পদ।
এই মহামূল্যবান সম্পদ অর্জনের জন্যে তোমাকে কঠোর শ্রম করতে হবে। তুমি তো জান শ্রমই উন্নতির চাবিকাঠি। প্রতিষ্ঠা, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, যশ-সুনাম, মর্যাদা এসব ত্রিবেণী ত্রিধারার দুর্বার স্রোতমুখে টিকে থাকার জন্যে প্রয়োজন শ্রম ও কঠোর সাধনা। অন্যথায় ব্যর্থতা এসে জীবনকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ফেলবে। কথায় বলে, ‘পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্য আনে সুখ’- এ কথা তর্কাতীতভাবে সত্য। শ্রম-বিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে আনে নিদারুণ অভিশাপ।

তাই শ্রমেই সফলতা, শ্রমেই সুখ, শ্রমই জীবন। এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তোমার জন্যে স্নেহ রইল। আব্বু-আম্মুর প্রতি খেয়াল রাখবে। তাঁদের কথামতো চলবে। আজ এখানেই শেষ করছি।
ইতি
তোমার বড় বোন
আরও দেখুন: