Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

শব্দদ্বিত্ব ও শব্দদ্বিত্বের সাহায্যে শব্দগঠন | প্রতিধ্বনিমূলক শব্দদ্বিত্ব | পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দদ্বিত্ব | শব্দদ্বিত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

তথ্যবিপ্লবে ইন্টারনেট | বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

শব্দদ্বিত্ব ও শব্দদ্বিত্বের সাহায্যে শব্দগঠন | প্রতিধ্বনিমূলক শব্দদ্বিত্ব | শব্দদ্বিত্ব | ভাষা ও শিক্ষা , বাংলা ভাষায় শব্দগঠনে শব্দধিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শব্দদ্বিত্ব বলতে কেবল একই শব্দের দুবার ব্যবহার বা একই শব্দ বা পদের পুনরাবৃত্তিকেই বোঝায় না। বরং নানা বিচিত্র প্রক্রিয়ায় শব্দদ্বিত্ব তৈরি হয়।

শব্দদ্বিত্ব ও শব্দদ্বিত্বের সাহায্যে শব্দগঠন | প্রতিধ্বনিমূলক শব্দদ্বিত্ব |পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দদ্বিত্ব | শব্দদ্বিত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

সন্ধিতে ধ্বনির মিলন বা পরিবর্তন বা লোপ-এর মাধ্যমে দুটি ধ্বনির মিলন ঘটে। কিন্তু শব্দয়িত্বে প্রতিধ্বনিমূলক পরিবর্তন বা প্রতিধ্বনিমূলক ব্যঞ্জনচ্যুতি ঘটে। যেমন- “অঙ্ক-টঙ্ক’। এখানে প্রথম শব্দ অঙ্ক-এর ‘অ’ পরের প্রতিধ্বনি জাতীয় শব্দে “ট’-এর দ্বারা স্থানচ্যূত ঘটে “টক” হয়েছে। একে বলে ব্যঞ্জন বিকল্পন। শব্দধিত্বে ফর- বিকল্পনও ঘটে। তবে পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দদ্বিত্বে বহুবিধ বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়।

শব্দধিত্বের সাহায্যে গঠিত শব্দগুলোর অর্থ ও ভাব-ব্যঞ্জনা বৈচিত্র্যময়। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিশেষ ভাব ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে, যেমন- নৈসর্গিক শব্দানুকৃতি অর্থের ব্যাপকতা বোঝাতে, অপ্রীতি বা রুক্ষতার ভাব, আবেগ-নিরপেক্ষ ভাব, তুচ্ছতার ভাব, আদর বা কোমলতার আভাস ফোটাতে, আকস্মিকতা ও তাৎক্ষণিকতাসহ মানবমনের সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাব প্রকাশে শব্দধিত্বের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।

শব্দদ্বিত্বকে প্রধানত দু ভাগে ভাগ করা যায় (ক) প্রতিধ্বনিমূলক এবং (খ) পুনরাবৃত্তিমূলক। প্রধান এ দু ভাগের আরও কয়েকটি উপবিভাগ রয়েছে। নিচের ছকে তা দেখানো হলো :

 

 

প্রতিধ্বনিমূলক শব্দদ্বিত্ব

 

 

১। ব্যঞ্জনবিকল্পনের ফলে সৃষ্ট প্রতিধ্বনি শব্দ

ট-বিকল্পন : এ ক্ষেত্রে প্রথম শব্দটির প্রথম বাজনটি পরের প্রতিষ্ঠানি জাতীয় শব্দে ই-এর দ্বারা স্থানচ্যুত হয়। প্রথম শব্দের শুরুতে বাঞ্জন না থাকলেও অর্থহীন এবং প্রতিধ্বনিসূচক দ্বিতীয় শব্দটির গোড়ায় একটি ‘টু’ এসে যায়। যেমন- আম-টাম, ইট-টিট, উপায়-টুপায়, একটা-ট্যাকটা, বেশ-টোবেশ, কাগজ-টাজ, খরচ-টরচ, গোরু-টোর্ ঘর-টর, চাল-টাল, ছাগল-টাগল, জ্বর-টর, ঝাল-টাল।

বর্ণানুক্রম অনুসরণ করতে গিয়ে দেখা যায়, আদ্যব্যঞ্জনেই যদি টু থাকে, তাহলে প্রতিধ্বনি হিসাবে আর টু পুনরাবৃত্ত হয় না, বরং তার বদলে ফ ব্যঞ্জনটির আগম ঘটে। যেমন টাট্টু-কাটু, টাইম-ফাইম, টাকা-ফাকা, টাই-ফাই। কিন্তু ই ছাড়া এই বর্গের অন্য তিনটি বাজনের ক্ষেত্রে বিশেষ অন্যথা হয় না। যেমন- ঠুলি-টুলি, ঠান্ডা-টালা, ডাক- টাক, ডিম-টিম, ঢাক-টাক চুলি-টুলি।

এছাড়া তাল-টাল, থাকা-টাকা, দর-ঘর, ধূলো-টুলো, নিলে-টিপে, পাশ-টাশ, ফল-টল, বাড়িচাড়ি, ভয়- টয়, মার-টার, রাজা-টাজা, লাত-চাত, পুটি-টুচি, শাসন-টাসন, বাঁড়-টাড়, সম্মান-ট্যান, হুকুম-টুকুন। এসব শব্দের প্রথম অংশটি অর্থবোধক হলেও দ্বিতীয় অংশটি নিরর্থক এবং গঠিত শব্দের অর্থে তুচ্ছতা বা অমনকতা বা আবেগ-নিরপেক্ষ ভাব ফুটে ওঠে। যেমন :

লুচিটুচি হচ্ছে নাকি এ বাড়িতে? আবেগ-নিরপেক্ষ তার ‘পুচি বা ওই জাতীয় কিছু অর্থকে প্রকাশ করে। লুচিফুচি যা হোক একটা কিছু করো না। অধৈর্য মনোভাব- লুচিকুচি যে কোনো একটা কিছু হলেই হয়।

ব-প্রতিধ্বনি :  চুলবুল, আগড়ম-বাগড়, চাকরবাকর, বড়, গড়।

ম-প্রতিধ্বনি : এ জাতীয় শব্দের দ্বিতীয় অংশের শব্দে ন-এর আগম ঘটে। যেমন- মুচি-মুচি, তেল-মেল, ঘুষো- মুষো।

স (শ)-প্রতিধ্বনি : শ-এর আগম ঘটে। যেমন গুটিশুটি, গুটিয়েটিয়ে, জড়োসড়ো, গল্পসল্প, বুড়োসড়ো, মোটাসোটা, রকমসকম, বড়োসড়ো, অল্পসম, নরমসরম, মুড়িসুড়ি, বোকাসোকা, আঁটোসাঁটো বুদ্ধিশুদ্ধি, বোধশোধ। এসব শব্দে আনর বা কোমলতার আতাস ফোটে ওঠে।

 

২। স্বর বিকল্পন বা স্বরাস্তরিত দ্বিত্ব 

স্বরাস্তরিত দ্বিত্ব বলতে বোঝায় দ্বন্দ্ব সমাসের মতো সংগঠিত দুটো শব্দে দ্বিতীয়টির প্রথমটি হুবহু পুনরাবৃত্তি না হয়ে বরং প্রথমটির ব্যঞ্জনগুলোর দ্বিতীয়টিতে পুনরাবৃত্তি ঘটে। কিন্তু স্বরগুলো হয় না, একই বাঞ্জনগুচ্ছ ভিন্ন একটি বা দুটি স্বরধ্বনির আশ্রয়ে গ্রন্থিত হয়। এগুলো ধ্বন্যাত্মক ও অর্ধ-ধন্যাত্মক। অর্ধ-ধন্যাত্মক শব্দের দ্বিতীয় অংশটি নিরর্থক, অর্থাৎ ধ্বন্যাত্মক। যেমন— টুকরোটাকরা, খুচরোখাচরা, সাফসুফ, জোগাড়জাগাড়, ধারধোর, প্যাচ-পোঁচ ইত্যাদি। এ রকম চুপচাপ, ঘুষঘাষ, ফিটফাট, তুকতাক, টুকরোটাকরা, খুচরোখাচরা, ডাক-ডোক, দাগ-দোগ, ফাঁক- ফোঁকরে), ভিড়-ভাড়, মিটমাট, গোছ-গাছ, মোট-মাট, কালো-কোলো, ধার-ধোর, ভুল-ভাল, ঢাকা-ঢুকি, ঢিলে- ঢালা, ঠিক-ঠাক।

স্বরাস্তরিত ধ্বন্যাত্মক শব্দের দ্বিত্ব : টুং-টাং, ঠুংঠাং ট্রুপ-চাপ, টুপুর টাপুর, টুক-টাক, গুচ্-খাচ্‌, ধুপ-ধাপ, টুশটাশ, ঝাপ, ঝাপুর-ঝুপুর, দুড়-দাড়, দুড়ুম-দাড়াম, খুটখাট, খুটুর-খাটুর, খুসুর ঘাসুর, সুনাম, ঘুমুশ- ধামুশ, ধুপুশ–ধাপুশ, হাপুস-হুপুস, ফিস্ ফান, ফুস-ফাস, ফুসুর-ফাসুর, ছিমছাম, হুটহাট, ভুটভাট, ছ্যাঁক-ছোক।’ স্বর এবং ব্যঞ্জনের বিকল্পনের দৃষ্টান্তও দু-একটি আছে- চোটপাট, লুটপাট।

লক্ষ করি যে, এখানে নিম্নষর পা এবং উচ্চমর ই বা উ-র মধ্যে স্থান বিনিময় ঘটেছে, এবং সাধারণভাবে এ ধরনের ধ্বন্যাত্মক শব্দে মহাপ্রাণ ঘোষ সৃষ্ট ব্যঞ্জনের প্রাধান্য বেশি।

 

৩। অনুকার শব্দ

এগুলো অনেকটা সমাসেরই মতো সাধারণভাবে দুটি শব্দ-উপাদানে নির্মিত হয়। শব্দ উপাদান দুটির একটি অর্থহীন বা আপাত অর্থহীন। যেমন- চাকরি-বাকরি বাসন-কোসন, জামাটামা, পোশাক-আশাক ইত্যাদি। কখনও কখনও নিরর্থক শব্দটি অনুচর না থেকে আগে এসে বসে। যেমন— অলিগলি, সুলুক-সন্ধান। আবার স্বরান্তরের ফলে একই ধরনের অনুচর উপাদানটি কখনও-বা অর্থহীন হয়ে যায়, যেমন- ঠাকুর-ঠুকুর, জারিজুরি, দোকান-দাকান ইত্যাদি।

 

 

পুনরাবৃত্তিমূলক শব্দদ্বিত্ব

এ ধরনের দ্বিত্বে একই শব্দের পুনরাবৃত্তি ঘটে। অর্থাৎ একই শব্দের দু বার উচ্চারণের ফলে এক ধরনের ‘যমজ’ শব্দের সৃষ্টি হয়। বাংলা ব্যাকরণে এর বহুবিধ বৈচিত্র্য দেখা যায়। এ ধরনের দ্বিত্ব ধ্বন্যাত্মক ও অর্থাত্মক দু ধরনের শব্দেই ঘটে।

১। ধ্বন্যাত্মক শব্দের দ্বিত্ব:

এ ধরনের ঘিতে ধ্বনিটির পুনরাবৃত্তি বা প্রলম্বন ঘটায়। কখনও-বা বহুত্বের অর্থ যোগ করে। বক্তার প্রকাশ-প্রবণতা অনুসারে এক বা বহুবার পুনরাবৃত্ত হতে পারে। যেমন- সাঁ করে ভীরটা ছুটে গেল। সাঁ সাঁ করে তিরগুলো ছুটে গেল। সা সা সা সা করে তীর ছুটে যাচ্ছে।

ধ্বন্যাত্মক একক শব্দের হিত্বের উদাহরণ : আ, ইস্ ইস্, উহ্ উহ্, কুটকুট, কোৎকোং, কুটুস কুটুস, খকখক, মুটখুট, খুরপুটুর, শ্যাষ্টাক, ঘেউ ঘেউ, ছি-ছি, ছ্যা ছ্যা ছ্যাক খ্যাক, কাট, টুংটুং ঠুকঠুক ঠুকুস- ঠুকুস ঠকঠকর, ভূগছল, ঢং, পথ, থুপহুপ, দুমদুম দুপদুপ যুগযুগ, খুপুর-ধুপুর, ফটফট, ফোস ফোস্ ভটভট, তোস্ তো, শো-শো, -, ই-সাঁই, শ-শ হুম- হুম, হিস্ হিস্ ।

আ-এর নিধান (insertion) : এ ধরনের কোনো কোনো ধ্বন্যাত্মক শব্দে প্রথম অংশের পরে আ-এর নিধান ঘটার ফলে আর-এক ধরনের অব্যাহত ব্যান্ডির অর্থ সূচিত হয়। যেমন- কপকপ কপাকপ, খচখচ খচাখচ্‌, স্বপৃথপ্ থপাথপ ইত্যাদি। কখনও মুখের কথার পুনরাবৃত্ত শব্দের আদ্যবাজনটির দ্বিত্ব ঘটে। যেমন- টাট সমাদৃসম, কড়াকড় ইত্যাদি।

যমজ ধ্বন্যাত্মক শব্দ : অনেক ঋন্যাত্মক শব্দ জন্মগতভাবে যমজ’। যেমন- ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান শব্দের ‘ম্যান’ বা ‘প্যান’ হিসেবে একক রূপ বাংলা ব্যাকরণে নেই। আসলে এগুলো দ্বিত্বের উদাহরণ নয়। ফলে এগুলোর অর্ধাংশ, যেমন কোনো অর্থ প্রকাশ করে না, তেমনই তার প্রয়োগও সম্ভব নয়। এ ধরনের কিছু ধান্যাত্মক শব্দ : ক্যাটক্যাট, কুতকুত, কুচকুচ, গজগজ, গজরগজার, গুজুরগুজুর, গনগন, গুনগুন, ঘ্যানঘ্যান ঘ্যানঘ্যানর ঘুটঘুট ঘসঘস, চকচক, চিকচিক, জ্বলজ্বল, ঝকঝক ঝিকমিক, ঝিরঝির, নামকম, ঝুমর ঝামর, ঝুমঝুম, টরটর, টুকটুক, টসটস, তকতক, তিরতির থকথক থিকথিক কর্তৃক, ফুসর, ফুসুর ফুসুর, ভনভন, ভ্যাজর ভ্যাজর, লকলক, সরসর

 

২। অর্থবহ শব্দের দ্বিত্ব :

এ ধরনের দ্বিত্বে নিছক পুনরাবৃত্তি ঘটে থাকে। এ পুনরাবৃত্তি কখনো বিভক্তিহীন, কখনো- বা বিভক্তিযুক্ত।

বিভক্তিহীন শব্দের পুনরাবৃত্তি

বিশেষ্য বিশেষণ সর্বনাম ক্রিয়াবিশেষণ- সব ধরনের পদেরই বিভক্তিহীন পুনরাবৃত্তি লক্ষ করা যায়, নানা অর্থে, যেমন-

১. উদ্ধৃতিসূচক : ‘সকাল থেকে মা মা বলে কাঁদছে ছেলেটা!’, ‘ভালো ভালো করেই ওর মাথাটা খেলে”, “সর্বক্ষণ, আমি আমি করে লোকটা’।

২. বারংবারতা ও পুনরাবৃত্তি : হঠাৎ হঠাৎ অমন চমকে দাও কেন? জলদি জলদি কাজগুলো সেরে ফেলো।

৩. ব্যাপ্তি ও বহুত্ব : বিশেষ্যের ক্ষেত্রে বিভক্তিলোপের দৃষ্টান্ত বাগানে প্রচুর লাল লাল ফুল ফুটেছে। কত কত লোক দেখেছি, তোমার মতো এমন দানবীর আর দেখিনি। যাও, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথাটা জানিয়ে এসো।

৪. নৈকট্য : জ্বর জ্বর ভাব, পাগল পাগল ভাব, উড়ুউড়ু মন, দুঃখী দুঃখী মুখ।

৫. পূর্ণতা : গরম গরম চা, টাটকা টাটকা খবর, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা থাকতে খেয়ে নাও। একই প্রয়োগ প্রতিবেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। জ্বর জ্বর ভাব বলতে ঠিক জ্বর বোঝায় না, জ্বরের কাছাকাছি (নৈকট্য) বোঝায়, আবার গরম গরম খেয়ে নাও বললে বোঝায় পূর্ণতা, অর্থাৎ পূর্ণ গরম অবস্থায় খেয়ে নেয়ার কথা বলা হচ্ছে।

 

বিভক্তি-যুক্ত শব্দের পুনরাবৃত্তি

বিভক্তি-যুক্ত শব্দের পুনরাবৃত্তি বলতে বোঝায় পদের পুনরাবৃত্তি। বলা যায় পদের পুনরাবৃত্তি করে শব্দনির্মাণ। বাংলায় নানা ধরনের বিভক্তি যুক্ত পদের দ্বিত্ব ঘটে। তবে বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াতে বিভক্তি-যোগ বেশি দেখা যায়। বিশেষ্যভিত্তিক অনুসর্গ পদ সাধারণভাবে এ বিভক্তির যোগেই অনুসর্গ হয়ে ওঠে সেগুলোর দ্বিত্বও ব্যাপকভাবে ঘটে।

বিশেষ্য+ র/এর : সাধারণত বহুত্ব ও ব্যান্ডি অর্থ প্রকাশ করে। যেমন— মজার মজার গল্প, দূরের দূরের যাত্রী, বাড়ির, বাড়ির ময়লা।

বিশেষ্য+ এ : বিচ্ছিন্ন বছর ও ব্যাপ্তি, নানার্থক গাছে গাছে, ডালে ডালে, পাতায় পাতায়, ঘরে ঘরে, দেশে দেশে, ঝাঁকে ঝাঁকে, হাটে হাটে

বিশিষ্টার্থে : তাৎক্ষণিকতা- চোখে চোখে, মুখে মুখে, হাতে হাতে। অবিচ্ছেদ- গায়ে গায়ে, সুরে সুরে, ছায়ার ছায়ায়, মেঘে মেঘে। স্থানিকতা গোপনে গোপনে, পেটে পেটে, তলায় তলায়। নৈকট্য- মা, মাে মাসে, হাঁটুতে হাঁটুতে।

 

বিভক্তিহীন সর্বনামের দ্বিত্ব

বণ্টিত বহুত্ব বা ব্যাপ্তি অর্থে : কখন কখন, কে কে, যে যে, সেই সেই। উদ্ধৃতিসূচক : “ওই ওই” (বলে চেঁচিয়ে উঠল মেয়েটি)। “তুমি তুমি।

বিভক্তিযুক্ত সর্বনামের দ্বিত্ব

সর্বনাম+কে : বন্ধুত্ব কাকে কাকে দাওয়াত করেছো? যাকে যাকে বলেছ তার তার কাছে যেন কার্ড পৌঁছায়।

সর্বনাম+-র/-এ : উদ্ধৃতিসূচক- সারাক্ষণ আমার আমার করে লোকটা। বহুত্ব কার কার হাতে কলম আছে? যার যার শোক তার তার সান্ত্বনা।

বিশেষণ ও সংখ্যা শব্দ+এ/তে : ব্যাপ্তি ভালোয় ভালোয়। সংখ্যা শব্দের বহুত্ব হাজারে হাজারে, লাখে লাখে, শয়ে শয়ে, কোটিতে কোটিতে। যোগ: একে একে (দুই), দুয়ে দুয়ে চার)। অনুবর্তন : একে একে (সবাই

এসেছে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version