Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

লঞ্চ দুর্ঘটনা এবং প্রতিকার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা

লঞ্চ দুর্ঘটনা এবং প্রতিকার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা ,গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে চাঁদপুর টার্মিনাল থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে চাঁদপুর মোহনায় বরগুনাগামী এমভি নাসরিন-২ লঞ্চটি প্রায় দেড় সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে নদীগর্ভে ডুবে যায়। রাত ২টা পর্যন্ত মাত্র দেড়শত যাত্রী সাঁতার কেটে কিংবা প্রশাসনের উদ্ধারকারী কর্মীদের অথবা সকল স্তরের লোকজনের সহায়তায় রক্ষা পেলেও সহস্রাধিক যাত্রী নিখোঁজ। যাত্রীদের কয়েকজন চাঁদপুর টার্মিনালে সাঁতার কেটে আসার পর লোকজন ও প্রশাসন জানতে পারে লঞ্চডুবির কথা। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজে নদীর তীরে এগিয়ে যান।

লঞ্চ দুর্ঘটনা এবং প্রতিকার সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা

উদ্ধারকৃত যাত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, তাঁর তিন শিশুসন্তান নিখোঁজ রয়েছে। লালমোহনের আবদুল গণি জানান, তাঁর শিশুপুত্র ইব্রাহীম (১০) ও নাতনি রিনা (৬) নিখোঁজ রয়েছে। লঞ্চডুবির সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোক চাঁদপুরের নদীর তীরে ভিড় জমায়। প্রতিবেদর লেখা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের পরিচয়ই এখনো পাওয়া যায় নি। স্বজন হারাদের আহাজারিতে চাঁদপুরে নদীর তীরে মর্মান্তিক দৃশ্যের অবতারণা হয় ।

 

 

গতকাল বিকেল ৪টায় এমভি নাসরিন-২ বরগুনা লালমোহনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ওই পথে কোকো লঞ্চ যাওয়ার কথা থাকলেও এই লঞ্চটি যায় নি। কোকোর যাত্রীরাও এমভি নাসরিন-২ লঞ্চে ওঠে। তিনতলা নাসরিন লঞ্চটি ছাদসহ কানায় কানায় যাত্রী বোঝাই করে রওয়ানা দেয়। রাত ১১টা ৪০ মিনিটে চাঁদপুর মোহনায় গিয়ে টার্মিনালে যাওয়ার জন্য মোড় নিলে হঠাৎ প্রবল স্রোতের মুখে লঞ্চটি যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় নৌ-পথের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাসমূহ নৌ-পরিবহনের নিরাপত্তা সম্পর্কে বিশেষ প্রশ্ন তুলছে। কেবল ঝড়, চরের কারণেই

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

নয়, নৌ-যান পরিচালক, সারেং-সুকানিদের অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা, নৌপথে সিগনাল । ব্যবস্থার ত্রুটি, টার্মিনালসমূহের অব্যবস্থাপনা, অত্যধিক যাত্রী ও মাল পরিবহন ইত্যাদি বিষয় এসব দুর্ঘটনার কারণ। সাম্প্রতিক সময়ে নৌ-পথে চলাচলকারী নৌযানসমূহের ত্রুটিপূর্ণ নকশা, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী লঞ্চ নির্মাণ না করার গুরুতর অভিযোগও উত্থাপিত হয়েছে। দেখা গেছে যে, প্রতিটি নৌ-দুর্ঘটনার পর সরকার দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটি করেছে।

 

 

কিন্তু এখানেও দুর্ঘটনার মূল কারণসমূহ উদ্ঘাটন না করে নৌ-পরিবহনের বিভিন্ন অংশ পরস্পর পরস্পরের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে এক্ষেত্রে এমন সব রিপোর্ট পেশ করছেন, যাতে ওই সকল তদন্তের মুখ্য উদ্দেশ্য পূরণ হয় নি।দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নৌ-খাতের সর্বাধিক উপযুক্ত ব্যবহার এবং সেই লক্ষ্যে আর্থিক, প্রশাসনিক, কারিগরি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।

আরও দেখুন:

Exit mobile version