বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন | প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা

বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন | প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা , প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন: কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব প্রশাসনিক কাঠামো, কার্যাবলি, ঘটনা বা অবস্থা যাচাই করে সে সম্পর্কিত তথ্য, তত্ত্ব, উপাত্ত তুলে ধরে যে বিবরণী প্রণয়ন করা হয়, তাকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন বলে। এই ধরনের প্রতিবেদন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে লেখা হয়।

বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন

তারিখ : ১১/০৬/০৯

বরাবর

অধ্যক্ষ,

কলেজ, রংপুর।

বিষয় : কলেজের বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন।

জনাব,

আপনার আদেশক্রমে (আদেশ নং- রংসক, ৫৪/০৯; ১০/০৬/০৯) সুষ্ঠু তথ্য প্রদান করে মহাবিদ্যালয়ে সম্প্রতি … অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন নিচে উপস্থাপন করছি। কলেজের ডিবেটিং ক্লাব আয়োজিত ৫ম বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় একাদশ শ্রেণি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানার্স আপ হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণি ।

 

বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন

 

১ । গত ৫ জুন কলেজ মিলনায়তনে কলেজ ছাত্র সংসদের পৃষ্ঠপোষকতায় কলেজের ডিবেটিং ক্লাবের আয়োজনে বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০০৯ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ে বিতর্কের বিষয় ছিল : ‘কলেজ-রাজনীতি শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে’। প্রতিযোগিতায় পক্ষ দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে একাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী এবং বিপক্ষ দল হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী। প্রতিযোগিতায় প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে একাদশ শ্রেণি চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়।

২। প্রতিযোগিতায় উভয় পক্ষই বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে সর্বোত্তম যুক্তি তথ্য ও বাগ্মিতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের ক্ষুরধার বক্তব্য ও উপস্থাপনা অন্যান্য শিক্ষার্থীর জীবনে উপকারে আসবে।

৩। প্রতিযোগিতাটি উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ এবং শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সময় কলেজের সকল অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থেকে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেছে এবং সকলে উপভোগ করেছে। এক কথায় বলা যায়, এবারের বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা কলেজ

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

৪ । আঙিনায় নতুন গতির সঞ্চার করেছে। ৪। প্রতিযোগিতায় বিচারকমণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কবির চৌধুরী ও ফেরদৌসী বেগম

ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক যথাক্রমে রায়হানুল কবির ও মঞ্জুরুল ইসলাম

৫। বিচারকগণ তাঁদের সুচিন্তিত রায় দিয়েছেন বলে শ্রোতা, দর্শক ও শিক্ষার্থীদের অভিমত । ৬। প্রতিযোগিতা শেষে সভাপতি বিতর্কিত বিষয় সম্বন্ধে তাঁর বিচক্ষণ মন্তব্য প্রকাশ করেন। তিনি বিতর্কের সুফল সম্পর্কে মূল্যবান বক্তব্য রাখার মধ্য দিয়ে সভার উপসংহার টানেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন-

“বিতর্কের মাধ্যমে মানুষের মনে অন্ধবিশ্বাস বা ভ্রান্ত ধারণার পরিবর্তে সত্যের আবির্ভাব ঘটে। বিতর্কের মধ্য দিয়েই মানুষ পায় প্রকৃত পথের সন্ধান। বিতর্ক-সভা মানুষকে যুক্তিনিষ্ঠ, ধৈর্যশীল, বাকপটু করে তোলে। এটি মানুষের প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের বিকাশ ঘটায়। চিন্তার মধ্যে এনে দেয় সুস্থতা ও ঋজুতা। আবেগধর্মিতাকে কমিয়ে যুক্তিবোধকে প্রবল করে। বিতর্ক-সভা প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন করার বুদ্ধি ও যুক্তি জোগায় এবং সম্পূর্ণ নতুন পরিস্থিতিতে মানুষকে কী কৌশল গ্রহণ করতে হবে, সে বিষয়ে সচেতন করে। বিতর্ক-সভাতেই নিজেকে প্রকাশ করার, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এবং জয়-পরাজয়কে সহজভাবে গ্রহণ করার একটা মানসিকতা তৈরি হয়।

 

বার্ষিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন

 

বিতর্ক সভার মধ্য থেকেই জন্ম নেয় ভাবী- কালের কত সুদক্ষ বাগ্মী, কত অসাধারণ রাষ্ট্রনেতা, কত আইনজ্ঞ, অধ্যাপক। বিতর্ক-সভাই ভবিষ্যতের সার্থক জীবনগঠনের প্রস্তুতি ক্ষেত্র। এতে মানুষের আড়ষ্টতা, লজ্জাবোধের আবু যায় সরে। এখানেই শালীনতাবোধের প্রকাশ। এখানেই নিয়ম-শৃঙ্খলা-আনুগত্যের দীক্ষা। শিক্ষার পূর্ণতা বিধানে বিতর্ক-সভার আছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই ছাত্রজীবনে বিতর্ক-সভার আয়োজন শিক্ষার অপরিহার্য বিষয়।”

বিনীত প্রতিবেদক

প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, … সরকারি কলেজ, রংপুর।

আরও দেখুন:

Leave a Comment