বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ (লিঙ্গ)” বিষয়ের “প্রত্যয়ঘটিত স্ত্রীবাচক শব্দ” ও “বিশেষ নিয়মে সাধিত স্ত্রীবাচক শব্দ” সেকশনের একটি পাঠ। বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক ‘শব্দ মূলত দুভাগে বিভক্ত ১. পতি ও পত্নীবাচক অর্থে। যেমন—
বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ | প্রত্যয়ঘটিত স্ত্রীবাচক শব্দ | বিশেষ নিয়মে সাধিত স্ত্রীবাচক শব্দ | পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ (লিঙ্গ) | ভাষা ও শিক্ষা
প্রত্যয়ঘটিত স্ত্রীবাচক শব্দ
১। বাংলা স্ত্রী প্রত্যয় : পুরুষবাচক শব্দের সঙ্গে কতকগুলো প্রত্যয় যোগ করে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠন করা হয়। এগুলো হল : ই, নি, আনি, ইনি ।
দ্রষ্টব্য : : অনেকসময় নতুন নতুন প্রত্যয়ের প্রয়োগ দেখা যায়। যেমন : ঠাকুর • ঠাকরুন (উন-প্রত্যয়); ঠাকুর ঠাকুরাইন (আইন-প্রত্যয়)। বাংলায় কতকগুলো তৎসম শব্দের পরে আবার স্ত্রীবাচক প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন, অভাগা— অভাগী / অভাগিনী । ২. নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ : কতকগুলো শব্দ নিত্য স্ত্রীবাচক। এগুলোর পুরুষবাচক শব্দ নেই। যেমন : সতিন, সত্মা, এয়ো, দাই, সধবা ইত্যাদি।
বিশেষ নিয়মে সাধিত স্ত্রীবাচক শব্দ
১. যেসব পুরুষবাচক শব্দের শেষে ‘তা’ রয়েছে, স্ত্রীবাচক বোঝাতে সে সব শব্দে ‘ত্রী’ হয়। যেমন : নেতা – নেত্রী, কর্তা – কর্ত্রী, শ্রোতা – শ্রোত্রী, ধাতা – ধাত্রী ইত্যাদি। ২. পুরুষবাচক শব্দের শেষে অত্, বান্, মান্, ঈয়ান থাকলে যথাক্রমে অতী, বতী, মতী, ঈয়সী হয়। যেমন :
ব্যাকরণ বলতে সাধারণত ভাষার কাঠামোর, বিশেষ করে শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর, গবেষণাকে বোঝায়। এ অর্থে ব্যাকরণ হল কোন ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনা। কখনও কখনও আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানে ব্যাকরণ পরিভাষাটি দিয়ে কোন ভাষার কাঠামোর সমস্ত নিয়মকানুনের বর্ণনাকে বোঝানো হয়, এবং এই ব্যাপকতর সংজ্ঞার ভেতরে ঐ ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব ও প্রয়োগতত্ত্বের আলোচনাও চলে আসে।
আরও দেখুন: