Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

লিঙ্গের প্রকারভেদ | বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ এবং লিঙ্গ পরিবর্তন | পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ (লিঙ্গ) | ভাষা ও শিক্ষা

লিঙ্গের প্রকারভেদ – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ (লিঙ্গ)” ও “বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ এবং লিঙ্গ পরিবর্তন বিষয়ের একটি পাঠ।

লিঙ্গের প্রকারভেদ

বাংলা ভাষায় লিঙ্গ চার প্রকার :

১. পুংলিঙ্গ : যে শব্দ দ্বারা পুরুষ জাতি বোঝায় তা পুংলিঙ্গ; যেমন : পিতা, পুত্র, রাজা ইত্যাদি।

২. স্ত্রীলিঙ্গ : যে শব্দ দ্বারা স্ত্রীজাতি বোঝায়, তা স্ত্রীলিঙ্গ; যেমন : মা, মেয়ে, রানি ইত্যাদি।

৩. ক্লীব লিঙ্গ : যে শব্দ দ্বারা স্ত্রী বা পুরুষ কিছুই বোঝায় না, তা ক্লীবলিঙ্গ; যেমন : কলম, চেয়ার, হাত, গাছ ইত্যাদি।

৪. উভয়লিঙ্গ : যে শব্দ দ্বারা স্ত্রী পুরুষ উভয় বোঝায়, তা উভয় লিঙ্গ; যেমন : সন্তান, কবি ইত্যাদি।

বাংলায় পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ এবং লিঙ্গ পরিবর্তন

বাংলা ভাষায় প্রাকৃতিক অবস্থান-অনুসারে লিঙ্গ-বিচার হয়ে থাকে। সংস্কৃতে আবার ভিন্ন নিয়ম। তৎসম পুরুষবাচক বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে পুরুষবাচক বিশেষণ ব্যবহৃত হয় এবং স্ত্রীবাচক বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে স্ত্রীবাচক বিশেষণ ব্যবহৃত হয়। যেমন : বিদ্বান লোক, কিন্তু বিদুষী নারী। এখানে ‘লোক’ পুরুষবাচক বিশেষ্য এবং ‘নারী’ স্ত্রীবাচক বিশেষ্য। ‘বিদ্বান’ পুরুষবাচক বিশেষণ এবং ‘বিদুষী’ স্ত্রীবাচক বিশেষণ। কিন্তু বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে সংস্কৃত ব্যাকরণের এ নিয়ম মানা হয় না। যেমন— সংস্কৃতে ‘সুন্দর বালক ও সুন্দরী বালিকা’ কিন্তু বাংলায় ‘সুন্দর বালক এবং সুন্দর বা সুন্দরী বালিকা।

 

 

অনেক ভাষায় বিশেষ বিশেষ প্রত্যয় ও বিভক্তি দ্বারা নাম-শব্দে লিঙ্গের পার্থক্য দেখানো হয়ে থাকে। সংস্কৃত ভাষায় লিঙ্গভেদ দেখানোর ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ প্রত্যয় ও বিভক্তির প্রয়োগ বিদ্যমান। কিন্তু কতকগুলো বিশেষ শব্দ ছাড়া প্রত্যয় ও বিভক্তির মাধ্যমে লিঙ্গের এই পার্থক্য বাংলা ভাষায় দেখানো হয় না।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

আরও দেখুন:

Exit mobile version