পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে পিতাকে চিঠি লেখার সময় আমাদের লক্ষ্য থাকে পরীক্ষার জন্য নিজের পরিকল্পনা, পড়াশোনার অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির বিষয়ে জানানো। এতে বাবা-মায়ের উদ্বেগ কমে এবং তারা আমাদের প্রতি বিশ্বাস ও সহায়তা জ্ঞাপন করতে পারেন। এছাড়া, চিঠির মাধ্যমে আমাদের আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা ও যোগাযোগের গুরুত্ব প্রকাশ পায়। এই ধরনের চিঠি লেখার মাধ্যমে আমরা নিজেদের দায়িত্বশীলতা ও পরিশ্রমের বিষয়টি পরিবারের সামনে তুলে ধরতে পারি, যা আমাদের মনোবল বৃদ্ধিতেও সহায়ক হয়। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতির বিষয়ে পিতাকে চিঠি লেখা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ্য কার্য। এই ক্লাসটি “ভাষা ও শিক্ষা” সিরিজের “পত্র বা চিঠি”র অংশ।
পরীক্ষার প্রস্তুতির ব্যাপারে জানিয়ে পিতাকে চিঠি
… সরকারি কলেজ ১৫/০৫/২০০০
শ্রদ্ধেয় ‘ক’
আমার সালাম জানবেন। আশা করি পরম করুণাময়ের কৃপায় সুস্থ আছেন। আমার অন্তরাত্মার কামনা এটাই। আর মাত্র দু মাস পরে আমার ফাইনাল পরীক্ষা, যদিও আপনি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছুই জানতে চান নি, তবু আমি জানি, আপনি উদ্বিগ্ন আছেন। ‘Make hay while the sun shines – চিঠিতে লেখা আপনার উপদেশ বাণীটি পড়েই আমি তা বুঝতে পেরেছি। সে যাক, বিগত পরীক্ষাগুলোতে আমি যে কৃতিত্ব দেখিয়েছি— এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ ইতোমধ্যেই সব বিষয়ের সম্পূর্ণ সিলেবাসই আমার পড়া হয়ে গেছে। এখন শুধু রিভিশন দিচ্ছি। সব বিষয় সম্পর্কে আপনার নির্দেশ যথাসাধ্য পালনে যত্নবান হয়েছি।
আমাদের শিক্ষকগণও প্রতিটি বিষয়ে পরীক্ষার জন্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বাছাই করে আমাদের বোঝা কমানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি পাঠ্য সব বিষয়ই পড়ছি, কেননা আমার লক্ষ্য কলেজের মধ্যে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করা। আর এটাও সত্য যে, প্রতি বছর আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই জিপিএ ০৫ অর্জন করে। এর মধ্যে আমি আমার নামটি অবশ্যই সংযোজন করতে চাই, তবে গোল্ডেন ০৫ হিসেবে।
এ প্রসঙ্গে আমি আপনার উপদেশ বাণীটি কার্যকর বলে মনে করি- ‘Slow but steady wins the race. (অধ্যবসায়ের ফলে জীবনে সফলতা লাভ হয়)’- তদ্রূপ অধ্যবসায়ে আমার কোনো ত্রুটি নেই বলেই সফলতা নিশ্চিত- এ কথা আমি জোর দিয়েই বলতে পারি। আপনি এবং মা উভয়েই আমার জন্যে দোয়া করবেন। আমি একপ্রকার ভালোই আছি। ছোটদের জন্যে আদর রইল।
ইতি
আপনার স্নেহের
আরও দেখুন: