তাই আজ প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয় – ভাব-সম্প্রসারণের একটি নমুনা তৈরি করে দেয়া হল। আগ্রহীরা এখন থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় নিজস্ব সংস্ককরণ তৈরি করবেন। সাধারণত ভাব সম্প্রসারণ করার জন্য প্রদত্ত কবিতার অংশ অথবা গদ্যের অংশ অতিসংক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। আর এই ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে লুকিয়ে থাকে সহস্ত্র ভাবের ইঙ্গিত। আর এইভাবে রিংগিত কে সম্প্রসারণ করার জন্য অবশ্যই সতর্কতার সাথে সেই মৌলিক বিষয় খুঁজে বের করতে হয় এবং এর মাধ্যমে ভাব সম্প্রসারণ করতে হয়।
তাই আজ প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়
প্রকৃতির ওপর আধিপত্য নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গে সহযোগিতা করে তা থেকে উপকৃত হতে হবে। মানুষ একদিন প্রকৃতিকে জয় করার নেশায় মেতেছিল। প্রকৃতিকে জয় করেও মানুষের সেই নেশার অবসান হল না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ জলে স্থলে মহাশূন্যে আধিপত্য বিস্তার করল। কিন্তু মানুষের এই বিজয় মানুষকে আরও এক পরাজয়ের মধ্যে ফেলে দিল। আজ আমরা এক ভয়ঙ্কর সংকটের মুখোমুখি। এ সংকট কোনো বিশেষ দেশের নয়, বিশেষ জাতির নয়।
এ সংকট আজ বিশ্ব জুড়ে। বিশ্বের পরিবেশ আজ নানাভাবে দূষিত। এই দূষণ আজ মানবজাতীকে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সেই ভয়াবহ দিনের কথা স্মরণ করেই আজ বিশ্বের মানুষ এগিয়ে এসেছে। মানুষ প্রকৃতিকে বশীভূত করে তা থেকে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রকৃতির ওপর যে কোনো উপায়ে আধিপত্য বিস্তার করে লাভবান হওয়া যাবে, এরকম একটি ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ বন কেটে বসত করেছে, মানুষ নদীর গতি অবরুদ্ধ করেছে।
কিন্তু এমন ধারণা করে মানুষের কল্যাণ হয় নি। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়েছে। তাতে মানুষের জন্যে অকল্যাণ ঘটেছে। মানুষ তার এই কৃতকর্ম সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছে। তাই তার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মানুষ বনায়নের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। প্রকৃতির সঙ্গে .. বিরূপতার সম্পর্ক না রেখে তার সঙ্গে সহযোগিতা প্রদর্শন করে প্রকৃতি থেকে মানুষ উপকৃত হতে চাইছে।
এখন মানুষপ্রকৃতির ওপর আধিপত্য দেখাতে চায় না, চায় প্রকৃতির সহযোগিতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানবজাতিকে বিপর্যস্ত করে ফেলে। তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। এর জন্যে মানুষ প্রকৃতি থেকে সহযোগিতা লাভের চেষ্টা করলে যথার্থই উপকৃত হবে।
আরও দেখুন: