কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র | নিমন্ত্রণ পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , সামাজিক সদ্ভাব ও সুসম্পর্ক রক্ষা করার জন্য কোন আয়োজিত অনুষ্ঠানে , অথবা ব্যাবসায়িক আলোচনার প্রয়োজনে কাঙ্খিত ব্যক্তির উপস্থিতির জন্য নান্দনিকভাবে অবহিত করার উদ্দেশ্যে লিখিত চিঠিকে নিমন্ত্রণ পত্রে বলা হয়ে থাকে | ধর্মীয়, সামাজিক ,রাজনৈতিক ,ব্যবসায়িক যে কোন অনুষ্ঠানে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানাতে আমন্ত্রণ পত্র লেখা হয়ে থাকে |
আমন্ত্রণ পত্রের ব্যবহার মূলত সামাজিক রীতি | বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও ধর্মীয় , রাজনৈতিক , ব্যবসায়িক সমাবেশে মানুষকে আমন্ত্রণ করতে আমন্ত্রণ পত্র লেখা হয়ে থাকে । যেমন বিয়ে , জন্মদিন , ইফতার মাহফিল , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা , বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান , সামাজিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান , রাজনৈতিক দলের কর্মী সমাবেশ , বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের যেমন ঈদ দুর্গাপূজা নিকটাত্মীয় ও বন্ধু বান্ধবদের আমন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিমন্ত্রণ পত্র ব্যবহার করা হয় ।
তাই ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান কে গ্রহণযোগ্য আনন্দঘন করে তোলার জন্য আন্তরিকভাবে নিমন্ত্রণ পত্র লেখার নিয়ম ও নমুনা সম্পর্কে সবারই জানা উচিত ।নিমন্ত্রণ পত্রের শুরুতেই , প্রাপকের উদ্দেশ্যে সৌজন্যে সূচক অথবা স্নেহ মুলক কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয় । শব্দগুলো মূলত আন্তরিকতা প্রকাশে সহায়ক । কিছু সম্ভাষণ হিসেবে ব্যবহৃত শব্দের উদাহরণ : সুধী , মহোদয় , শ্রদ্ধেয় , প্রিয়তমেষু , জনাব , সুজন প্রভৃতি । বয়স ও সম্পর্ক ভেদে সম্ভাষণ মূলক শব্দ নির্বাচনে সচেতনতা অবলম্বন করা শ্রেয় ।
কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র
সুধী,
ঐতিহ্যবাহী কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রদের এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, হয়েছে। এই অনুষ্ঠান আগামী ৭ মার্চ ২০০৮, শুক্রবার সকাল দশটায় কলেজ মিলনায়তনে উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠানে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি দান করেছেন। কলেজের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যে আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
বিনীত
‘খ’, সম্পাদক
কলেজ পুনর্মিলনী কমিটি
ঢাকা
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০০
আরও দেখুন: