Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা , ভাবসম্প্রসারণ কথাটির অর্থ কবিতা বা গদ্যের অন্তর্নিহিত তৎপর্যকে ব্যাখ্যা করা, বিস্তারিত করে লেখা, বিশ্লেষণ করা। ঐশ্বর্যমণ্ডিত কোনাে কবিতার চরণে কিংবা গদ্যাংশের সীমিত পরিসরে বীজধর্মী কোনাে বক্তব্য ব্যাপক ভাবব্যঞ্জনা লাভ করে। সেই ভাববীজটিকে উনােচিত করার কাজটিকে বলা হয় ভাবসম্প্রসারণ।

 

 

কর্তব্যের কাছে ভাই বন্ধু কেউ নেই

নিষ্ঠার সঙ্গে কর্তব্য পালন করা এ পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ বলে তার সঙ্গে কোনটিই তুলনীয় নয়। কর্তব্য পালনের মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে। সকল মানবিক সম্পর্ক ও স্বার্থের ওপরে কর্তব্যের স্থান। সততা, দায়িত্ববােধ ও ন্যায়নীতির ভিত্তিতে স্বীয় কর্তব্য পালনই মানবধর্ম। আর কর্তব্য পালনে ভাই বন্ধু ভেদাভেদ করার অবকাশ নেই।মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। স্বীয় মেধা ও বুদ্ধিবলে মানুষ এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার জন্য এ পৃথিবীতে মানুষকে সর্বদা কর্মব্যস্ত থাকতে হয়। শুধু তাই নয়, কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিটি মানুষকে তার ওপর অর্পিত বেশকিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। কর্তব্যের কছে তাই ভাই-বন্ধু, আপন-পর ভেদাভেদ করার অবকাশ নেই।

 

 

একজন বিচারক যখন বিচারাসনে বসে বিচার করেন, তখন তাঁর নিকট ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন সবাই তুচ্ছ হয়ে যায়। শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি আপন-পর বিবেচনা করেন না। একদা এক মহিলা চুরির দায়ে ধরা পড়লে রাসুল (সা) তার হাত কাটার নির্দেশ দেন। কেউ একজন রাসুল (সা)-কে মহিলাটি রাসুল (সা)-এর বংশের বলে জানালে তিনি বলেন, “আমার মেয়ে ফাতিমাও যদি এ কাজ করতাে তাহলে আমি তাকে একই দণ্ডাদেশ দিতাম।” ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা) স্বীয় পুত্র আবু শাহমাকে মদ্যপানের অপরাধে বেত্রাঘাতের দণ্ডাদেশ দেন এবং নিজ হাতে তা কার্যকর করেন। এতে আবু শাহমার মৃত্যু হলেও শাস্তি সামান্যতম মওকুফ করেননি। প্রত্যেকটি মানুষের উচিত হযরত উমর (রা)-এর মতাে কর্তব্যপরায়ণ হওয়া।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কর্তব্যের চেয়ে ভাই-বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন কেউ বড়াে নয়। যখন যে মানুষ যে কাজে নিয়ােজিত থাকবে, তখন সেই কাজটাই হবে তার কাছে প্রধান। ভাই বন্ধু চিন্তা করতে গেলে সঠিকভাবে কর্তব্য পালন করা যায় না। আত্মচিন্তায় মগ্ন ব্যক্তি সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে না। অতএব, সকলেরই কর্তব্যবােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত।কর্তব্যে অবহেলা বা পক্ষপাতিত্ব মানবধর্মের পরিপন্থি। তাই প্রত্যেকের উচিত কর্তব্যে অটল থাকা।

আরও দেখুন:

Exit mobile version