ধ্বনি | ভাষা ও উচ্চারণ | বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন | ভাষা ও শিক্ষা

ধ্বনি | ভাষা ও উচ্চারণ | বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন | ভাষা ও শিক্ষা , ধ্বনি : ভাষা মানুষের সামাজিক জীবনের ভাব প্রকাশের একমাত্র বাহন। তার মৌলিক গঠন উপাদান হচ্ছে অর্থবোধক ধ্বনি। ধ্বনি একটি বাচনিক প্রক্রিয়া যা শ্রবণীয়। মানুষের মুখে তা উচ্চারিত হয় এবং অপরের কানে তা অর্থবহ হয়ে প্রবেশ করে। অর্থহীন ধ্বনি উচ্চারিত করা যায় বটে, তবে তা মানব সমাজের কোনো কাজে আসে না।

ধ্বনি | ভাষা ও উচ্চারণ | বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন | ভাষা ও শিক্ষা

ধ্বনির অনুভূতি মানুষের মস্তিষ্কে সঞ্চিত থাকে। জীবনের বা সমাজের প্রয়োজনে মানুষ তা প্রকাশ করে থাকে। এর জন্যে প্রয়োজন হয় ফুসফুস ও বাগ্যন্ত্রের সাহায্য। মানুষ তার মস্তিষ্ক থেকে মনের ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে অনুভূতি প্রকাশ করতেই ফুসফুস থেকে প্রয়োজনীয় বাতাস নির্গত করে কণ্ঠ, তালু,  দন্ত, ওষ্ঠ প্রভৃতি অর্থাৎ বাগ্যন্ত্রের কোনো না কোনো প্রতাতা স্পর্শ করে মুখ দিয়ে সমন্বিত অর্থবহ ধ্বনি সমষ্টি বের করে। এই উচ্চারিত ধ্বনিসমষ্টিই হল ভাষা।

ধ্বন্যাত্মক শব্দ | শব্দদ্বিত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

 

দু’ভাবে ধ্বনি বা ভাষাকে প্রকাশ করা যায়। যেমন : ১. মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে এবং ২, লিখে।

মুখ দিয়ে উচ্চারিত ধ্বনি লিখে প্রকাশ করতে হলে প্রয়োজন হয় কতকগুলো প্রতীকচিহ্নের। এই ধ্বনির দৃশ্যমান প্রতীক হল “বর্ণমালা”। তাই মনের ভাব লিখে বা উচ্চারণ করে। যে ভাবেই হোক না কেন, তা প্রকাশ করতে হলে যথাযথ বানান ও বিশুদ্ধ উচ্চারণ অপরিহার্য। প্রতিটি শব্দের যথাযথ উচ্চারণের জন্যে কতকগুলো নিয়ম বা সূত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নিয়ম বা সূত্রের সমষ্টিকেই বলা হয় উচ্চারণরীতি।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন

উচ্চারণের শুদ্ধতা রক্ষিত না হলে ভাষার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। তাই শুদ্ধ উচ্চারণ একদিকে যেমন ঠিকভাবে মনোভাব প্রকাশে সহায়ক, তেমনি শব্দের অর্থবিভ্রান্তি ও বিকৃতি ঘটার সম্ভাবনা থেকেও মুক্ত রাখে। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণের প্রয়োজন অপরিসীম। বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে :

১. প্রমিত কথা ভাষার বাচনভঙ্গি অনুসরণ করা, অর্থাৎ চলিত ও আঞ্চলিক ভাষার পার্থক্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথভাবে ব্যবহার করা।

২. স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি’র যথাযথ উচ্চারণ সম্পর্কে অবহিত হওয়া। অর্থাৎ ঠিক উচ্চারণস্থান থেকেই ধ্বনি-গুলোকে উচ্চারণ করাতে হবে।

৩. উচ্চারণ-সূত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা।

৪. আঞ্চলিকতা পরিহার করা।

৫. প্রতিনিয়ত অনুশীলন বা চর্চা করা। যদি বানান বা উচ্চারণ সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই অভিধান দেখতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা অভ্যাসে পরিণত করতে হবে

 

অভিধান নির্মাণকৌশল | বাংলা অভিধান | শব্দ-ভুক্তির বৈশিষ্ট্য | ভাষা ও শিক্ষা

 

ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য, ধ্বনিতত্ত্ব – ব্যাকরণ বাংলা ২য় পত্র :

 

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment