Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণ | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা

বাংলা সাহিত্যে ও বাঙালির জীবনে নববর্ষ | ভাষা ও সাহিত্য | বাংলা রচনা সম্ভার

ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণ – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব” বিষয়ের একটি পাঠ।  যে ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য না নিয়ে স্বয়ং স্পষ্টরূপে উচ্চাতির হয় না তাকে ‘ব্যঞ্জনধ্বনি’ বলে। স্বরধ্বনি নিরপেক্ষ অর্থাৎ স্বয়ং উচ্চারিত হয়; ব্যঞ্জনধ্বনি স্বরধ্বনির অধীন অর্থাৎ নিরপেক্ষ বা স্বাধীন নয়, তাকে স্বরধ্বনির সাহায্য না নিলে চলে না। ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণকালে শ্বাসবায়ু মুখের ভেতর গলনালি, তালু, দাঁত বা ঠোঁট ইত্যাদি স্থানে কোথাও না কোথাও নানাভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ভাষাবিদগণ নানাভাবে ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞার্থ প্রদান করেছেন।

 ব্যঞ্জনধ্বনি ও ব্যঞ্জনবর্ণ | ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব | অধ্যায় ৩ | ভাষা ও শিক্ষা

যেমন ‘যে ধ্বনি স্বরধ্বনিকে আশ্রয় করে উচ্চারিত হয় তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। ৮ যেমন : ক, চ, ট, ত, প ইত্যাদি। “যে সকল ধ্বনি উচ্চারণের সময় ফুসফুস তাড়িত বাতাস বেরিয়ে যেতে মুখবিবরের কোথাও না কোথাও কোনো প্রকার বাধা পায় কিংবা ঘর্ষণ লাগে, তাদের বলা হয় ব্যঞ্জনধ্বনি (Consonant sound) ৮। যেমন : যেমন— ক, খ, ছ, দ যে ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য ব্যতীত স্পষ্ট-রূপে উচ্চারিত হইতে পারে না, এবং সাধারণত যে ধ্বনি অপর ধ্বনিকে আশ্রয় করিয়া উচ্চারিত হইয়া থাকে, তাহাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন— ক (অর্থাৎ ক্ + অ), খ, গ ইত্যাদি।

বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনধ্বনি ও তাদের উচ্চারণ যদি মনে রাখি তাহলে স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি উভয়েরই বৈশিষ্ট্য ও পার্থক্য বুঝতে সুবিধে হয়। ধরা যাক একটি শব্দ ‘মা’। ‘মা’ ধ্বনি বিশ্লেষণ করলে আমরা দুটো ধ্বনি পাই : ম্ + আ। আমরা পূর্বে দেখেছি যে ‘আ’ ধ্বনি হচ্ছে স্বরধ্বনি : এখন ‘ম্’ ধ্বনি ব্যঞ্জনধ্বনি। অথবা আরেকটি শব্দ ‘কলম’।

একে বিশ্লেষণ করলে পাই— ক্ + অ + ল্ + অ + ম্ এই পাঁচটি ধ্বনি; এর মধ্যে স্বরধ্বনি ২টি অ, আর ব্যঞ্জনধ্বনি পাচ্ছি ৩টি (ক্, ল্, ম্)। এই উদাহরণ থেকে একটা ব্যাপার স্পষ্ট হচ্ছে যে, স্বরধ্বনির সহায়তা ছাড়া ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হয় না, কেননা আমরা ক্, ল্ ইত্যাদি পৃথক পৃথকভাবে আর অ, আ ইত্যাদি পৃথক পৃথক উচ্চারণ করি না—উচ্চারণ করি ক (অর্থাৎ ক্ + অ একত্রে) বা ল (অর্থাৎ ল্ + অ একত্রে)। অথবা ধরা যাক ‘আম’। এখানে ‘মৃ’ ব্যঞ্জনধ্বনি, কিন্তু তারও পূর্বে ‘আ’ স্বরধ্বনি দরকার পড়ছে ।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ব্যঞ্জনবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের রূপ :

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version