সাধু রীতি ও চলিত রীতি সম্পর্কে জানা প্রতিজন শিক্ষার্থীর জন্যই জরুরী। “সাধু রীতি ও চলিত রীতি” নিয়ে পাঠটি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণী (এইচএসসি) শিক্ষার্থীদের জন্য। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক এবং পলিটেকনিক এর কারিকুলাম প্রায় একই হওয়ায় পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীদের জন্য একই ভাবে কার্যকর। পলিটেকনিক এর পাঠ্যক্রমে এই বাংলা কোর্সটির কোর্স কোড “৬৫৭১১”।
Table of Contents
সাধু রীতি ও চলিত রীতি
সাধু ভাষারীতি : যে ভাষারীতি অধিকতর গাম্ভীর্যপূর্ণ, তৎসম শব্দবহুল, ক্রিয়াপদের রূপ প্রাচীনরীতি অনুসারী এবং আঞ্চলিকতামুক্ত তা-ই সাধু ভাষারীতি। যেমন: ‘এক ব্যক্তির দুইটি পুত্র ছিল। ‘ এই রীতি শুধু লিখিত গদ্যে পরিদৃষ্ট হয়।
চলিত ভাষারীতি : ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী স্থানসমূহের মৌখিক ভাষারীতি মানুষের মুখে মুখে রূপান্তর লাভ করে প্রাদেশিক শব্দাবলি গ্রহণ এবং চমৎকার বাভঙ্গির সহযোগে গড়ে ওঠে। এই ভাষারীতিকেই চলিত ভাষারীতি বলে। এই রীতি মৌখিক ও লিখিত উভয় ক্ষেত্রেই আকর্ষণীয় ও আদরণীয়। যেমন: ‘একজন লোকের দুটি ছেলে ছিল। ’
সাধু ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য
ক. সাধু ভাষার রূপ অপরিবর্তনীয়। অঞ্চলভেদে বা কালক্রমে এর কোনো পরিবর্তন হয় না।
খ. এ ভাষারীতি ব্যাকরণের সুনির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে চলে। এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট।
গ. সাধু ভাষারীতিতে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এ ভাষায় এক প্রকার আভিজাত্য ও গাম্ভীর্য আছে।
ঘ. সাধু ভাষারীতি শুধু লেখায় ব্যবহার হয়। তাই কথাবার্তা, বক্তৃতা, ভাষণ ইত্যাদির উপযোগী নয়।
ঙ. সাধু ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়।

চলিত ভাষারীতির বৈশিষ্ট্য
ক. চলিত ভাষা সর্বজনগ্রাহ্য মার্জিত ও গতিশীল ভাষা। তাই এটি মানুষের কথাবার্তা ও লেখার ভাষা হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এটি পরিবর্তনশীল।
খ. এ ভাষারীতি ব্যাকরণের প্রাচীন নিয়মকানুন দিয়ে সর্বদা ব্যাখ্যা করা যায় না।
গ. চলিত ভাষারীতিতে অপেক্ষাকৃত সহজ-সরল শব্দের ব্যবহার বেশি বলে এটি বেশ সাবলীল, চটুল ও জীবন্ত। ঘ. বলার ও লেখার ভাষা বলেই এ ভাষা বক্তৃতা, ভাষণ, নাটকের সংলাপ ও সামাজিক আলাপ-আলোচনার জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
ঙ . চলিত ভাষারীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহৃত হয়।
সাধু রীতি ও চলিত রীতি নিয়ে বিস্তারিত :
আও দেখুন: