সমাসে সন্ধি নিয়ে আজকের আলোচনা। সমাসে সন্ধির পাশাপাশি সমাস ও সন্ধির পার্থক্য নিয়েও আলোচনা হবে।
সমাসে সন্ধি
তৎসম শব্দের সমাসে সমস্যমান পদে সন্ধির প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই সন্ধি করতে হবে। যেমন- জ্ঞানালোক (জ্ঞান+ আলোক)।
বাংলায় এই সন্ধি গৌণ, প্রয়োজনে সন্ধি বর্জন করে হাইফেন দিয়ে যুক্ত করে লেখা যায়। যেমন— ‘জ্ঞান- আলোকের কিরণমালা’। এরূপ— ‘জীবনেতিহাস’ না লিখে জীবন-ইতিহাস লেখা চলে। কিন্তু সে শ্বশুরালয়ে যাচ্ছে, না লিখে ‘শ্বশুর আলয়ে” লেখা চলবে না।
সমাসবদ্ধ শব্দ যেমন একসভো (যেমন : ফলফুল, তরুলতা লেখা যায়, তেমনি হাইফেন যোগেও (যেমন: বাপ-মা, কলে ছাঁটা) লেখা যায়, অনেকে অসংলগ্নভাবেও (যেমন : হীরক খচিত, সলিল সমাধি, যৌবন সূর্য) লিখে থাকেন, কিন্তু সে ক্ষেত্রে প্রায়শই অর্থের অস্পষ্টতা ঘটবার সম্ভাবনা থেকে যায়।
এখানে ‘সমাস’ ও ‘সন্ধি’র মধ্যে পার্থক্যটা ভালোভাবে বোঝা দরকার। কেননা সন্ধিও তো সমাসের মত একাধিক পদকে সংক্ষিপ্ত করে ও সুশ্রাব্য করে।
সমাস ও সন্ধির পার্থক্য:
পরস্পর সন্নিহিত দুই বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন— অর্থ + অভাব অর্থাভাব, হিত + উপদেশ = হিতোপদেশ কটু + উক্তি – কটূক্তি ইত্যাদি। সন্ধির ক্ষেত্রে এই মিলনের ভিত্তি হচ্ছে উচ্চারণ, অর্থাৎ ধ্বনি। এক কথায় সন্ধির মিলন— ধ্বনিগত।
পরস্পর অর্থসম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে। যেমন— অর্থের অভাব – অর্থাভাব, হিতের উদ্দেশ্যে যে উপদেশ দেওয়া হয়। হিতোপদেশ, কটু যে উক্তি – কটূক্তি ইত্যাদি। সমাসের ক্ষেত্রে মিলনের ভিত্তি হচ্ছে অর্থ। এক কথায় সমাসের মিলন – পদগত।
আরও দেখুন:
- সর্বনাম ও সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ | ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | ভাষা ও শিক্ষা
- বিশেষ্য ও বিশেষ্যের শ্রেণিবিভাগ | ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | ভাষা ও শিক্ষা
- অব্দ বা বর্ষ গণনা | সংখ্যাবাচক শব্দ | ভাষা ও শিক্ষা
- বাংলা ভাষার শব্দশ্রেণি | পদনির্মাণ ও শব্দনির্মাণ | ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি | ভাষা ও শিক্ষা
- না না না , প্রেম ১৮৩ | Na na na