সন্ধ্যা যদি নামে পথে সারাংশ সারমর্ম আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
সন্ধ্যা যদি নামে পথে সারাংশ সারমর্ম রচনা
সন্ধ্যা যদি নামে … রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা রচনাটির সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
সন্ধ্যা যদি নামে পথে কবিতা
সন্ধ্যা যদি নামে পথে,
চন্দ্র যদি পূর্বাচল কোণে নাই হয় উদয়,
তারকার পুঞ্জ যদি নিভে যায় প্রলয় জলদে,
না করিব ভয়।
হিংস্র ঊর্মি ফণা তুলি,
বিভীষিকা মূর্তি ধরি যদি গ্রাসিবারে আসে,
সে মৃত্যু লঙ্ঘিয়া যার সিন্ধু পারে নবজীবনের নবীন আশ্বাসে।

সন্ধ্যা যদি নামে পথে সারমর্ম:
জীবনে যদি শত আঘাত, বাধা-বিপত্তি, ভয় এবং দুঃখের অমানিশাও ঘনিয়ে আসে তাতে ভেঙে পড়লে ।
সারাংশ সারমর্ম রচনা করার নিয়ম:
বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।
আরও দেখুন: