সন্ধির কর্ম অনুশীলন

আজকে সন্ধির কর্ম অনুশীলন সম্পর্কে আলোচনা করবো। যা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি এর অন্তর্গত।

 

সন্ধির কর্ম অনুশীলন

 

সন্ধির কর্ম অনুশীলন

মানুষ কথা বলার সময় কথার গতি বৃদ্ধি পায়। দ্রুত কথা বলার সময় কখনো কখনো দুটো শব্দের কাছাকাছি থাকা দুটো ধ্বনির উচ্চারণ একত্রিত হয়ে যায়। ব্যাকরণে একে সন্ধি বলা হয়। যেমন: “আমি বিদ্যা আলয়ে যাব।” বাক্যটি বলার সময় ‘আমি বিদ্যালয়ে যাব’ হয়ে যায়। এখানে ‘বিদ্যা’-এর ‘আ’-ধ্বনি এবং ‘আলয়’-এর ‘আ’—ধ্বনি মিলে গেছে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ লিখেছেন : দুটি বর্ণ অত্যন্ত নিকটবর্তী হলে উচ্চারণের সুবিধার জন্য উভয়ের মিলন হয়ে এক বর্ণ বা একের রূপান্তর বা একের লোপ বা উভয়ের রূপান্তর হলে— এরূপ মিলনকে সন্ধি বলে।

সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন। দুটো ধ্বনির সন্ধিতে প্রথম শব্দের শেষ ধ্বনি এবং পরের শব্দের প্রথম ধ্বনির মিলন ঘটে। সন্ধির ফলে নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি হয়। কথা বলার সময় শব্দের উচ্চারণ সহজ হয়। ভাষা সংক্ষিপ্ত হয় এবং শুনতে ভালো লাগে ৷

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

কর্ম অনুশীলন

১. সতী ঈশ বাবু মাধ্যমিক বিদ্যা আলয়ের শিক্ষক। তার অহম্ কার নেই, তিনি সম্ গীত ভালোবাসেন । — উদ্ধৃতাংশে মোটা দাগ দেয়া শব্দগুলোর সন্ধি কর। তোমার পছন্দমতো এ রকম আরও কয়েকটি শব্দের বাক্য লেখ।

২. তুমি আজ সারা দিন যাদের কথাবার্তা শুনেছ, সেসব কথার মধ্যে থেকে মনে করে ১০টি সন্ধিবদ্ধ শব্দ বের কর। তারপর সেগুলোকে আলাদা করে কোন প্রকার সন্ধি তা লেখ। যেমন: তোমার বাবা বললেন, “দোকান থেকে পাশসের আলু, গোটা পাঁচেক কাঁচকলা আর এক কৌটা গব্যঘৃত নিয়ে এস তাড়াতাড়ি। দেখ, যেন বেশকম না হয়।” – এখানে সন্ধিবদ্ধ শব্দগুলো হচ্ছে-

পাঁশসের, পাঁচেক, কাঁচকলা, গব্য, বেশকম ।

পাশসের = পাঁচ + সের = ব্যঞ্জনসন্ধি

পাঁচেক = পাঁচ + এক = ব্যঞ্জনসন্ধি

কাঁচকলা = কাঁচা + কলা ব্যঞ্জনসন্ধি

গব্য = গো + য = ব্যঞ্জনসন্ধি

বেশকম = বেশি + কম = ব্যঞ্জনসন্ধি

 

সন্ধির কর্ম অনুশীলন

 

৩. বহিষ্কার, আবিষ্কার, নমস্কার, পুরস্কার শব্দগুলো সন্ধির কোন নিয়ম মেনে গঠিত হয়েছে ?

নিয়মগুলো লেখ এবং সে নিয়ম অনুযায়ী তোমার পাঠ্য বই থেকে আরও কয়েকটি শব্দ খুঁজে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি কর।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment