সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ  সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া । যা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি এর অন্তর্গত।

 

সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া

 

 সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া

সকর্মক ক্রিয়া :

যে ক্রিয়া পদের কর্ম থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে।

বাক্যের ক্রিয়াকে কী বা কাকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই কর্মপদ। কর্মযুক্ত ক্রিয়াই সকর্মক ক্রিয়া। যেমন :

মা ভাত রান্না করছেন।

এ বাক্যে ক্রিয়াপদ হচ্ছে ‘রান্না করছেন’।

প্রশ্ন : কী রান্না করছেন?

উত্তর : ভাত।

অতএব ‘রান্না করছেন’ ক্রিয়া পদটির কর্ম হচ্ছে ‘ভাত’। ‘রান্না করছেন’ সকর্মক ক্রিয়া।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

অকর্মক ক্রিয়া :

যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন :

সৌরভ পড়ে।

সৌরভ কী পড়ে? – এ প্রশ্নের উত্তর নেই। অর্থাৎ এ বাক্যে ‘পড়ে’ ক্রিয়াপদের কোনো কর্ম নেই। তাই ‘পড়ে’ অকর্মক ক্রিয়া।

প্রয়োগ-বৈশিষ্ট্যে সকর্মক ক্রিয়া অকর্মক ক্রিয়া হতে পারে। যেমন :

সকর্মক ক্রিয়া

অকর্মক ক্রিয়া

১. আমি টিফিন খেয়েছি।

১. আমি টিফিনে খেয়েছি।
২. মাখন রায় গান গাচ্ছে ।২. মাখন রায় গানে মজেছে।

ধাতু

ক্রিয়ার মূল অংশকে ধাতু বলে। ক্রিয়া পদকে বিশ্লেষণ করলে দুটো অংশ পাওয়া যায় :

১. ধাতু বা ক্রিয়ামূল :কর্, যা, খা, পা, বল্, দেখ, খেল্‌, দে ইত্যাদি।

২. ক্রিয়াবিভক্তি : আ, ই, ছি, ছে, বে, তে, লে, লাম ইত্যাদি।

ধাতু তিন প্রকার। যথা : ১. মৌলিক ধাতু ২. সাধিত ধাতু ও ৩. যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু।

 

সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া

 

১. মৌলিক ধাতু :

যেসব ধাতু বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক ধাতু বলে।

যেমন : কর্, চল্, পড়ু, বড়ু,
পা, যা, দে, খা, হ্ ইত্যাদি।

২. সাধিত ধাতু :

মৌলিক ধাতু বা নাম-শব্দের পরে আ-প্রত্যয়যোগে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে সাধিত ধাতু বলে। যেমন :

কর্ + আ = করা
দেখ্‌ + আ = দেখা
বল্ + আ = বলা

 

সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া

 

৩. যৌগিক ধাতু :

বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে কর্, দে, হ, পা, খা ইত্যাদি মৌলিক ধাতু মিলিত হয়ে যে নতুন ধাতু গঠিত হয়, তাকে যৌগিক বা সংযোগমূলক ধাতু বলে।

যেমন : ভয় কর্, ভালো হ্, উত্তর দে, মার খা, দুঃখ পা ইত্যাদি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment