শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর সারাংশ সারমর্ম

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর সারাংশ সারমর্ম

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর। কালি ধুলার মাঝে, রৌদ্রবৃষ্টিতে কাজের ডাকে নেমে যাও। বাবু হয়ে ছায়ায় পাখার তলে থাকবার কোন দরকার নেই। এ হচ্ছে মৃত্যুর আয়োজন। কাজের ভিতর কুবুদ্ধি, কুমতলব মানবচিত্তে বাসা বাঁধতে পারে না। কাজে শরীরে সামর্থ্য জন্মে, স্বাস্থ্য, শক্তি আনন্দ, স্ফূর্তি সকলই লাভ হয়। পরিশ্রমের পর যে অবকাশ লাভ হয় তা পরম আনন্দের অবকাশ। তখন কৃত্রিম আয়োজন করে আনন্দ করবার কোন প্রয়োজন হয় না। শুধু চিন্তার দ্বারা জগতের হিত সাধন হয় না। শুধু চিন্তা করে মানুষ পূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হয় না। মানব সমাজে মানুষের সঙ্গে কাজে, রাস্তায়, কারখানায়, মানুষের সঙ্গে ব্যবহারে মানুষ নিজেকে পূর্ণ করে। চিন্তা ও পুস্তক মানব মনের পাপড়ি খুলে দেয় মাত্র, বাকি কাজ সাধিত হয় সংসারের কর্মক্ষেত্রে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর সারসংক্ষেপ :

কর্মহীন মানুষ মৃতপ্রায়। কর্মসূত্রেই মানুষ সৌজন্য শেখে, লাভ করে কাজের ও অবকাশের আনন্দ, অবদান রাখে জগতের কল্যাণে বস্তুত কাজের মাধ্যমেই মানুষ পায় স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন মন, হয়ে ওঠে পূর্ণাঙ্গ মানুষ।

 

শ্রমকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ কর | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

 

ভাব সবসময় অভিধানগত অর্থে ধরা পড়ে না। তার ব্যঞ্জনাধর্মী অর্থ বা তাৎপর্যকে উপলব্ধি করতে হবে।বক্তব্যটি বুঝে নিয়ে মূলভাবটি আলাদা করতে হবে এবং অলঙ্কার, উপমা, রূপক এগুলোকেও খুঁজে বের করতে হবে। অপ্রধান কথাগুলো বাদ দিয়ে মূলভাবটিকে সুসংহত কতে হবে।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment