শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে | সারাংশ সারমর্ম

শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে সারাংশ সারমর্ম লিখন

শুধু গাফলতে … রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা রচনাটির সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে কবিতা

শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে,

দরিয়া- অথই ভ্রান্তি নিয়াছি তুলে,

আমাদেরি ভুলে পানির কিনারে ‘মুসাফির দল বসি

দেখেছে সভয়ে অস্ত গিয়াছে তাদের সেতারা, শশী।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

শুধু গাফলতে শুধু খেয়ালের ভুলে সারমর্ম :

জাতীয় নেতৃত্বকে হতে হয় দায়িত্ব-সচেতন, কর্তব্যনিষ্ঠ ও পরিণামদর্শী। তা না হলে জাতীয় জীবনে নেমে আসে মহা বিপর্যয়— ঘোর অন্ধকার।

সারাংশ সারমর্ম রচনা করার নিয়ম:

বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।

প্রদত্ত অনুচ্ছেদে লেখকের ভাববস্তু যুক্তি, দৃষ্টান্ত, অলংকারাদির সাহায্যে বিস্তৃত আকারে প্রকাশিত থাকে। যেমন একটি গাছ শাখা-প্রশাখায়, পত্রে-পুষ্পে নিজেকে বিকশিত করে তুলে ধরে। সারসংক্ষেপ লিখনের সময় যুক্তি, দৃষ্টান্ত ও অলংকারাদির গৌণভাবকে বর্জন করে কেবল মূল ভাবটিকে গ্রহণ করতে হয়। সারসংক্ষেপের আয়তন ঠিক কতটা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। সাধারণত মূলের এক-তৃতীয়াংশ হতে পারে।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

Leave a Comment