যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “বাক্যতত্ত্ব” বিষয়ের একটি পাঠ।

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

 

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

যৌগিক বাক্য’ থেকে সরল বাক্যে’ রূপান্তর :

যৌগিক বাক্য’ থেকে সরল বাক্যে’ রূপান্তর করতে হলে বাক্যের মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিচের সাধারণ সূত্রগুলো অবলম্বন করতে হবে— সূত্র : ক। বাক্য পরিবর্তিত হলেও বাক্যের মূল অর্থের পরিবর্তন হয় না। যেমন : যৌগিক : প্রীতির দানে কোনো অসম্মান নাই, কিন্তু হিতৈষিতার দানে মানুষ অপমানিত হয়।

সরল : প্রীতির দানে কোনো অপমান না থাকিলেও হিতৈষিতার দানে মানুষ অপমানিত হয়। সূত্র : খ। সরল বাক্যের উদ্দেশ্য (কর্তা) ও বিধেয় ক্রিয়া (সমাপিকা ) বিশিষ্ট মূল কাঠামোর জন্যে প্রয়োজন অনুযায়ী যৌগিক বাক্যের কোনো একটি স্বনির্ভর আশ্রিত বাক্যকে অপরিবর্তিত আকারে গ্রহণ করা হয়।

 

যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

 

যেমন : যৌগিক : ‘কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।’ সরল : ‘কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিলেও বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। : গ। অপর স্বনির্ভর খণ্ডবাক্য বা বাক্যগুলো অসমাপিকা ক্রিয়া রূপে সরল বাক্যের অংশ রূপে (এর ব্যতিক্রমও হয়)। যেমন : যৌগিক : আমাদের ডাকের মধ্যে গরজ ছিল, কিন্তু সত্য ছিল না।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সরল : আমাদের ডাকের মধ্যে গরজ থাকলেও সত্য ছিল না। সূত্র : ঘ। যৌগিক বাক্যের অন্তর্গত স্বয়ংসম্পূর্ণ আশ্রিত বাক্য সংযোগকারী ‘অব্যয়’ লোপ পায়। যেমন: যৌগিক : ফিরে আসতে পারা যাবে, কিন্তু যাওয়া যাবে না। সরল : ফিরে আসতে পারা গেলেও যাওয়া যাবে না। যৌগিক বাক্যকে সরল বাক্যে’ রূপান্তরের কতিপয় উদাহরণ

Capture 77 যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষাCapture 78 যৌগিক বাক্য থেকে সরল বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

আধুনিক বাক্যতত্ত্ব আসার আগেই প্রাচীন ভারতে লিখিত ছিল পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী (সি. চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) যাকে আধুনিকোত্তর কাজের একটি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় যা আধুনিক বাক্যতত্ত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমে চিন্তার স্কুলটি “প্রথাগত ব্যাকরণ” নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল যা মূলত ডায়নোসিয়াস থ্র্যাক্সের কাজের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।

শতাব্দী জুরে বাক্যতত্ত্বের উপর যে কাজগুলো হয়েছে তা গ্রামেইর জেনারেল(grammaire générale) নামে পরিচিত একটি কাঠামো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসতেছে, ১৬৬০ সালে একই শিরোনামের একটি বইয়ে অ্যান্টনি আর্নল্ডের মাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সিস্টেমটি তার মৌলিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছিল যেখানে ভাষা হল চিন্তা প্রক্রিয়াগুলির একটি প্রত্যক্ষ প্রতীক এবং সর্বাধিক স্বাভাবিক উপায়ে চিন্তাকে প্রকাশ করার একটি একক ।

যাইহোক, ঐতিহাসিক-তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের উন্নয়নের সাথে সাথে উনিশ শতকে ভাষাবিদগণ মানব ভাষাগুলির নিবিড় বৈচিত্র্য উপলব্ধি করতে এবং ভাষা ও যুক্তিবিজ্ঞানের মধ্যে মৌলিক ধারণাগুলির সম্পর্ক নিয় প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন। এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছিল যে চিন্তাকে প্রকাশ করার সবচেয়ে স্বাভাবিক কোন উপায় ছিল না, এবং সেইজন্য লজিককে ভাষার কাঠামো অধ্যয়ন করার জন্য ভিত্তি হিসাবে নির্ভর করা যেতে পারে না।

 

বাক্যের প্রকারভেদ : যৌগিক বাক্য, বাংলা ব্যাকরণ :

 

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment