Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ভোক্তা অধিকার, নাগরিক অধিকার প্রতিবেদন রচনা। Essay on Consumer Rights

ভোক্তা অধিকার, নাগরিক অধিকার   [ Essay on Consumer Rights ] অথবা, ভোক্তা অধিকার আইন – নিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনার নমুনা দেয়া হল।

ভোক্তা -অধিকার রচনা । Essay on Consumer Rights

ভোক্তা- অধিকার রচনার ভূমিকা:

ভোক্তা -অধিকার বাংলাদেশে একটি নতুন বিষয়। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকই ভোক্তা। এমনকি যে শিশুটি মায়ের গর্ভে এখন আছে, সেই শিশুটিও একজন সম্মানিত ভোক্তা। সুতরাং মায়ের গর্ভের শিশুটিসহ আমাদের দেশের ভোক্তার সংখ্যা জনসংখ্যারও বেশি।

ভোক্তা -অধিকার কি?

ভোক্তা -অধিকার কি তা জানতে হলে, ভোক্তা কে তা জানতে হবে। ভোক্তা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি টাকার বিনিময়ে কোন কিছু জিনিসপত্র ক্রয় করেন বা সেবা ক্রয় করেন। কোন ভোক্তা কোন সেবা বা কোন পণ্য বা জিনিস ক্রয় করার সময় প্রতারিত হলে তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

সুতরাং ভোক্তা হিসেবে যেসব অধিকার পাওয়া যায়, সে অধিকারগুলি হল ভোক্তা -অধিকার। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একজন ব্যবসায়ী নিজেও ভোক্তা ,কারণ তিনি নিজেও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা ক্রয় করে থাকেন।

ভোক্তা- অধিকার রচনা । Essay on Consumer Rights

ভোক্তা- অধিকার আইন ও ভোক্তার অধিকার

২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ আইন ,২০০৯ পাস করেন। এই আইনটি দ্বারাই আমাদের দেশে ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে। ভোক্তা- অধিকার আইন ,২০০৯ অনুসারে ভোক্তার অধিকারগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

ভোক্তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

একজন ভোক্তা হিসেবে প্রত্যেকটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে। ভোক্তা কোন কিছু ক্রয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখে ,শুনে, বুঝে ক্রয় করবেন। এভাবে পণ্য ক্রয় করার পরেও ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভোক্তা -অধিকার আইনে মামলা বা অভিযোগ করা যায়।

ভোক্তা- অধিকার আইনে মামলা বা অভিযোগ করার নিয়ম

রাষ্ট্র একজন ভোক্তার অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ভোক্তা -অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছে। এ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা উপ-পরিচালক বা সরকারি পরিচালকগণের নিকট অভিযোগ দায়ের করা যায়। অভিযোগ বা মামলা দায়ের করার সময় কোন উকিলের দরকার হয় না।

একটি সাদা কাগজে ভোক্তা তার নিজের নাম ,পিতার নাম ,মাতার নাম ,বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা লিখে ডাকযোগে বা কুরিয়ার যোগে বা ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ করার সময় অবশ্যই প্রমাণ হিসাবে পণ্য ক্রয়ের রশিদ বা ভিডিও সংযুক্ত করতে হবে।

ভোক্তা অধিকার রচনা । Essay on Consumer Rights

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে গণমাধ্যমের ভূমিকা

গণমাধ্যমকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। একটি সমাজে যতগুলো অপরাধ সংঘটিত হয় তার মধ্যে ভোক্তার অধিকারগুলোর লংঘন অন্যতম। গণমাধ্যমগুলো ভোক্তাদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নিতে পারে:

 

ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণে ছাত্র ,শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা

আমাদের দেশে ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবকদের কিছু জনসচেতনামূলক কাজকর্ম করতে হবে। ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের যা করতে হবে তা নিম্নে দেয়া হল:

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার

ভোক্তা অধিকার একটি নাগরিক অধিকার। ভোক্তা অধিকার কারো দয়া বা করুণা নয়। বাংলাদেশের সকল ভোক্তার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হলে গণমাধ্যম, ছাত্র ,শিক্ষক ,অভিভাবক সকলকে গণসচেতনমূলক কর্মসূচি গ্ৰহণ করতে হবে।বিশেষ করে সরকার ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারে:

১) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে উপজেলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে হবে।

২) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দকে গ্রেপ্তারি করার ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

৩) অধিদপ্তরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জনবল নিয়োগ করতে হবে। এই জনগণগুলোকে দেশে ও বিদেশে ট্রেনিং প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৪) ভোক্তা অধিকারের বিষয়টি ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে।

৫)স্কুল কলেজের পাঠ্য বইয়ে ভোক্তা অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ করে পড়াতে হবে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version