ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্র | ভাষা ও শিক্ষা , বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণে সমস্যা নানাবিধ। তার মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে, উচ্চারিত ধ্বনি একটি কিন্তু লেখার বর্ণ প্রতীক একাধিক। যেমন ঙ , ং; জ , য ; ত , ৎ ; ঞ্চ , ন , ণ , এবং শ , ষ , স তো আছেই, এরপরে আছে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের বিচিত্র উচ্চারণ-সমস্যা। আমরা সংক্ষিপ্তভাবে, যেসব ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণে এবং লিখিত প্রতীকে পার্থক্যহেতু সমস্যা সৃষ্টি হয়, সেসব বর্ণ নিয়েই আলোচনা করবো।
ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের নিয়ম বা সূত্র | ভাষা ও শিক্ষা

কৃতঋণ শব্দের (Loan word) উচ্চারণ
বিশ্বের প্রতিটি আধুনিক ভাষাই ধ্বনিপদ্ধতি এবং উচ্চারণরীতিতে স্বতন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও নানা কারণে একভাষা অন্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে থাকে। গৃহীত সে শব্দাবলি (কৃতঋণ শব্দ। প্রায়শ বানানে উচ্চারণে এমনকী অর্থগত দিক থেকেও রূপান্তরিত হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু শব্দ (হয়তো গ্রহণকাল থেকে) বানান ও উচ্চারণগত বিচারে মূলভাষার প্রভাব বহন করে থাকে। বাংলা ভাষায় সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, তুর্কি, ইংরেজি ইত্যাদি ভাষা থেকে আগত এ-ধরনের শব্দ প্রচুর। এখানে দৃষ্টান্তরূপে সামান্য কয়েকটি শব্দের উল্লেখ করা হচ্ছে, যথা :
ক. সংস্কৃত শব্দ : কুষ্মাণ্ড (কুশমানডো), স্মিত ( স্মিতো), উন্মাদ (উন্মাদ), একবিংশ (একোবিংশো), কুটাল (কুট্মল) ইত্যাদি।
খ. আরবি-ফারসি শব্দ : ইসলাম (ইসলাম), মুসলমান (মুসোমান), মসনদ (মদ), সফর (সফোর), সালাম (সালাম), বিসমিল্লা (বিসমিলা) , কসম (কসম/কসোম), সুফি (সুফি) সুরত (সুরত), কিসমত (কিসমত্), সুন্নৎ (সুন্নাত) ইত্যাদি।
গ. তুর্কি শব্দ : সওগাত (সওগাত), আলখাল্লা (আলখাল্লা), খানম (খানম), খাতুন (খাতুন), মির্জা (মিরজা) ইত্যাদি।
ঘ. ওলন্দাজ শব্দ : হরতন (হরতন/তোন), রুইতন (রুইতন/তোন), তরুপ (তৃরূপ), ইকাবন (ইসকাবন/ বোন), চিড়িতন (চিড়িতন – তোন) ইত্যাদি।
ঙ. পর্তুগিজ শব্দ : ফিতা (ফিতা) , চাবি (চাবি), কামিজ (কামিজ), গামলা (গামলা), গরাদ (গরাদ), পেয়ারা (পেয়ারা) ইত্যাদি।
চ. ইংরেজি শব্দ : ভোট (ভোট), ব্যালট (ব্যালোট) , গেজেট (গেজেট), রোমান্টিক (রোমানটিক) কমেডি (কমেডি), ট্রাজেডি (ট্রাজেডি), সেক্রেটারি (সেকরেটারি), মার্কেট (মারকেট) ইত্যাদি।
আরও দেখুন: