বৈদ্যুতিক চিঠির আঙ্গিক গঠন | বৈদ্যুতিক চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা ,বিশ শতকের ষাট-সত্তরের দশকে ইন্টারনেট প্রোটোকল(INTERNET PROTOCOL)এর মাধ্যমে আরপানেট (ARPANET) এর জন্ম হয় ১৯৭১ সালে তখন আমেরিকার প্রোগ্রামার রোমান্ড স্যামুয়েল টমলিসন ই-মেইল এর সূচনা করেন উৎপত্তিগতভাবে বার্তায় লেখা (৭ বিটের আসকি এবং অন্যান্যগুলো) হল যোগাযোগের মাধ্যম কিন্তু ই-মেইল এখন মাল্টিমিডিয়াও পাঠাতে পারে এবং এটাচমেন্ট(সংযুক্তি) সংযুক্ত করতে পারে। এটি আরএফসি ২০৪৫ থেকে ২০৪৯এ পাঠানোর একটি প্রক্রিয়া। এই আরএফসি কে এমআইএমই বলে যার অর্থ হল মাল্টিপারপাস ইন্টারনেট মেইল ইক্সটেনশন।
বৈদ্যুতিক চিঠির আঙ্গিক গঠন | বৈদ্যুতিক চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা
অ্যাট চিহ্ন, প্রত্যেকটি এসএমটিপি ই-মেইলের অত্যাবশ্যকীয় অংশ অর্পানেটে নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ই-মেইলগুলো প্রথমে বিনিময় হত এফটিপি (ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) দিয়ে, কিন্তু এখন এসএমটিপি (সিম্পল মেইল ট্রান্সফার প্রোটোকল) দিয়ে বিনিময় করা হয় যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে(RFC 821)। বার্তা পাঠানোর প্রক্রিয়ায় এসএমটিপি তার খাম বা এনভেলপ এ ভিন্ন (বার্তা এবং হেডার থেকে)ডেলিভারি তথ্য জমা করে রাখে।
ই-মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হল ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২(RFC 561) খ্রিষ্টাব্দে তদানিন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করা হয়। ই-মেইল পেতে প্রথম দিকের ই-মেইল ব্যবস্থায় প্রেরক এবং প্রাপক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হত। এখনকার ই-মেইলগুলোতে এই সমস্যা নেই। ই-মেইল সার্ভারগুলো মেইল গ্রহণ করে এবং সংরক্ষণ করে পরে পাঠায়। ব্যবহারকারী বা প্রাপককে অথবা কম্পিউটারকে অনলাইনে থাকার প্রয়োজন হয় না শুধু মাত্র কোন ই-মেইল সার্ভারে থাকলেই সচল ই-মেইল ঠিকানা থাকলেই হয়।

সাধারণ চিঠি ও বৈদ্যুতিক চিঠির আঙ্গিক গঠনের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। আগেই বলা হয়েছে যে, শুধু চিঠি প্রেরণের মাধ্যমটিই ভিন্ন। অর্থাৎ বৈদুতিক চিঠি কম্পিউটারে টাইপ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। লক্ষ রাখতে হবে যে, বৈদ্যুতিক চিঠির প্রেরক ও প্রাপকের নাম-ঠিকানা সাধারণ চিঠির মতো নয়। এ-বিষয়ে আমরা আগেই জেনেছি। বৈদ্যুতিক চিঠির আরও কতকগুলো সুবিধা রয়েছে; যেমন- বৈদ্যুতিক চিঠির সঙ্গে ছবি প্রেরণ করা যায়, কণ্ঠস্বর অর্থাৎ কথাও প্রেরণ করা যায়।
আরও দেখুন: