বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয় সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয় সারাংশ সারমর্ম
বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয়… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয় রচনা
গুরুর আবশ্যক শিষ্যকে কতকগুলি বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয়, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের দ্বারা শিষ্যের আত্মার সামর্থ্য ও বৈশিষ্ট্যের খোঁজ নিয়ে তাকে স্বীয় সত্তায় প্রতিষ্ঠিত করা। শিষ্যের যিনি প্রকৃত গুরু তিনি তার অন্তরেই বিরাজমান; বাইরে গুরুর কার্য এই অন্তর গুরুর সঙ্গে শিষ্যের পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এইভাবে শিক্ষাপদ্ধতি চললে দেখতে পাব, সব ছেলেরই কিছু-না-কিছু শক্তি আছে, কোন ছেলেই একেবারে বাজে নয়। সুতরাং শিক্ষাবস্তুকে নয়, শিক্ষার্থীর অন্তরকে বড় করে দেখে তার ভিতরকার শক্তিকে জাগ্রত করাই যেন শিক্ষার লক্ষ্য হয়।

বুলি মুখস্থ করাবার জন্য নয় সারাংশ :
শিক্ষার মূল- উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীর আত্মশক্তির বিকাশ ঘটানো। শিক্ষার্থীকে কিছু বুলি মুখস্থ করিয়ে সেটা অর্জন করা যায় না। প্রকৃত শিক্ষক শিক্ষার্থীর অন্তরের সত্তাকে জাগিয়ে তোলেন এবং বাইরের জগতের সঙ্গে তার পরিচয় ও সমন্বয় ঘটিয়ে দেন।
বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।
সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:
সারাংশ সারমর্ম বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।
শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।
আরও দেখুন: