বিনা বেতনে পড়ার অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন পত্র | আবেদন ‘পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদ’ন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।
আবেদন ‘পত্র লেখার নিয়ম আমাদের ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবন সব জায়গায় প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কাজের জন্যই আমাদের বিভিন্ন রকম দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার দরকার হয়ে থাকে। ছোটবেলায় ছুটির জন্য আবেদন ‘পত্র লেখার নিয়ম শেখা কিংবা পড়াশোনা শেষে চাকরির দরখাস্ত লেখা, বাস্তবিক অর্থে আবেদন ‘পত্র লেখার জন্য সবার মাঝেই প্রথমবার একটি অস্বস্তি অনুভব হয়ে থাকে। তাছাড়া, চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে আমাদের একটু বাড়তি সতর্কতাই অবলম্বন করতে হয়। তাই, আবেদন ‘পত্র লেখার নিয়ম বাংলা কিংবা ইংরেজি যে ভাষাতেই হোক না কেন তা সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন।

বিনা বেতনে পড়ার অনুমতি চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন পত্র
তারিখ : ১০ জুন, ২০০০ বরাবর
অধ্যক্ষ,
কলেজ, বরিশাল।
বিষয় : বিনাবেতনে পড়ার জন্যে আবেদন
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, উল্লিখিত বিষয়ে সহানুভূতিশীল বিবেচনার জন্যে আমি নিম্নলিখিত বক্তব্যের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
১. আমার বাবা একজন স্বল্প বেতনভোগী সরকারি কর্মকর্তা। আমাদের চার ভাইবোনের লেখাপড়া চালানো বাবার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। কেননা তাঁর মাসিক বেতন মাত্র ৪৫০০/- টাকা।
২. আমি বিগত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এ-গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছি। ৩. আমি ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত থাকি এবং সবকটি শ্রেণিপরীক্ষায় সর্বাধিক নম্বর অর্জন করেছি অতএব এ-অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ দান করে আমার জীবন গঠনে সহায়তা করার
বিনীত
অনুরোধ জানাচ্ছি।
আরও দেখুন: