বাক্য সংকোচনের নিয়ম ও কতিপয় দৃষ্টান্ত | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা , একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য-সংক্ষেপণ বলে। এটি বাক্য সংকোচন বা ‘এক কথায় প্রকাশে’রই নামান্তর।
বাক্য সংকোচনের নিয়ম ও কতিপয় দৃষ্টান্ত | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
[মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ।} বক্তব্যকে সুন্দর ও মধুর করে প্রকাশের উদ্দেশ্যে বাক্যাংশ কিংবা বাক্যকে প্রয়োজনমতো সংকোচন করে নেওয়া হয়। বাক্যাংশই হোক্ বা বাক্যই হোক সাধারণত বহুপদের সমষ্টি দ্বারা তা তৈরি হয়।
বহুপদকে একপদে পরিণত করার মধ্য দিয়ে বাক্যাংশের বা বাক্যের সংকোচন-কাজ চলে। একেই বলা হয় বাক্য সংকোচন, নামান্তরে একপদীকরণ বা বাক্সংহতি। সাধারণভাবে কৃৎ বা তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে বা সমাস নিষ্পন্নের দ্বারা কিংবা ভিন্ন শব্দ প্রয়োগ করে বাক্য সংকোচনের প্রক্রিয়া চলে। ক. কৃৎ-প্রত্যয় যোগে — ১ পালন করে যে—পালক (√পালি+অক্)।
২. পানের যোগ্য—পানীয় (√পা+অনীয়)। ৩. যা বৃদ্ধি পাচ্ছে—বর্ধিষ্ণু (√বৃধৃ+ইষ্ণু)। ৪. যা বার বার দুলছে—দোদুল্যমান (√দুল্+যত্+ শানচ্)। খ. তদ্ধিত প্রত্যয় যোগে— ১. তিল থেকে জাত-তৈল (তিল+অ)। ২. গঙ্গার পুত্র— গাঙ্গেয় (গঙ্গা+এয়)। ৩. বেনারসে তৈরি—বেনারসি (বেনারস+ই)। গ. সমাস নিষ্পন্ন হয়ে ১. রাজার অনুসৃত নীতি -রাজনীতি (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)। ২. শূল পাণিতে যাঁর — শূলপাণি (বহুব্রীহি)। ৩. অন্য যুগ —যুগান্তর (নিত্যসমাস)। ঘ. ভিন্ন শব্দ প্রয়োগে— ১. যে ধুয়া ধরে — দোয়ার / দোহার। ২. অলংকারের ধ্বনি—শিঞ্জন, ৩. গ্রন্থাদির অধ্যায়—কন্দ।
আরও দেখুন:
- বাক্য সংকোচন বা বাক্য সংক্ষেপণ [ এককথায় প্রকাশ] | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- কতকগুলো পদের বিশিষ্টার্থে প্রয়োগ | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- শব্দ বা পদের বিশিষ্টার্থে প্রয়োগ | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দের নমুনা | সমোচ্চারিত শব্দে অর্থভেদ বোঝাতে প্রয়োজন | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা
- আমনে বাম্পার ফলন হবে,খাদ্য সংকট হবে না , পেঁয়াজ রপ্তানিও করতে পারব- কৃষিমন্ত্রী