বাংলায় বৈদ্যুতিক চিঠি বা ই-মেইল করা | বৈদ্যুতিক চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা , একটি ই-মেইল বার্তা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত- বার্তার খাম বা মোড়ক, বার্তার হেডার বা মূল (যেটাতে বার্তা কোথায় এবং কার কাছ থেকে তথ্য থাকে) এবং বার্তা। হেডার মেইল নিয়ন্ত্রণের তথ্য বহন করে, যেটাতে (কম করে হলেও) প্রেরকের ই-মেইল ঠিকানা, এক বা একাধিক প্রাপকের ঠিকানা থাকে। কিন্তু সাধারণত আরো বিস্তারিত তথ্যও থাকে যেমন হেডার বিষয়বস্তুর জন্য একটি ফিল্ড এবং বার্তা প্রেরণের তথ্য, গ্রহণের তথ্য প্রভৃতি।
ই-মেইল তথা ইলেক্ট্রনিক মেইল হল ডিজিটাল বার্তা যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। ১৯৭২(RFC 561) খ্রিষ্টাব্দে তদানিন্তন আরপানেটে সর্বপ্রথম ইলেক্ট্রনিক মেইল প্রেরণ করা হয়। ই-মেইল পেতে প্রথম দিকের ই-মেইল ব্যবস্থায় প্রেরক এবং প্রাপক দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হত। এখনকার ই-মেইলগুলোতে এই সমস্যা নেই। ই-মেইল সার্ভারগুলো মেইল গ্রহণ করে এবং সংরক্ষণ করে পরে পাঠায়। ব্যবহারকারী বা প্রাপককে অথবা কম্পিউটারকে অনলাইনে থাকার প্রয়োজন হয় না শুধু মাত্র কোন ই-মেইল সার্ভারে থাকলেই সচল ই-মেইল ঠিকানা থাকলেই হয়।
বাংলায় বৈদ্যুতিক চিঠি বা ই-মেইল করা
বৈদ্যুতিক চিঠি বা ই-মেইল বাংলা এবং ইংরেজি দু ভাবেই লেখা যায়। কিন্তু বাংলায় টাইপ করতে গেলে যে ফন্ট-এ টাইপ করা হয় সে ফন্ট প্রাপক ও প্রেরক উভয়ে কম্পিউটারে থাকতে হয়। নচেৎ প্রাপক চিঠি বা সংবাদটি পাঠ করতে পারবে না। বস্তুত কোনো নির্ধারিত ইউনিফর্ম ইন্টারফেস না থাকার ফলে সবার কম্পিউটারে একই রকম বাংলা ফন্ট থাকে না।

বাংলায় যেহেতু এখনো কোনো সন্তোষজনক ইন্টারফেস প্রচলিত হয়নি তাই ব্যবহারকারীকে বাংলায় কোনো ডকুমেন্ট মেইল করতে হলে বিকল্প পন্থা ব্যবহার করে মেইল করতে হবে। যেমন- (ক) ডকুমেন্টটি যে ফন্টে লেখা হয়েছে সে ফন্টটিও ডকুমেন্টের সঙ্গে মেইল করে দিতে হবে। প্রাপক সংশ্লিষ্ট ফন্টটি তার কম্পিউটারে ইনস্টল করে ডকুমেন্টের পাঠোদ্ধার করতে পারবে। (খ) ডকুমেন্টটি পিডিএফ (pdf) ফরমেটে কনভার্ট করে প্রাপকের কাছে পাঠালে এটি অবিকৃত থাকবে এবং প্রাপক পাঠ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। এ জন্যে প্রাপকের কম্পিউটারে ওই ফন্টটি না থাকলেও কোনো অসুবিধে নেই।
আরও দেখুন: