বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা ,ভাবসম্প্রসারণ কি তা বললে বোঝায়, কবি, সাহিত্যিক, মনীষীদের রচনা কিংবা হাজার বছর ধরে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচনে নিহিত থাকে জীবনসত্য। এ-ধরনের গভীর ভাব বিশ্লেষণ করে তা সহজভাবে বুঝিয়ে দেওয়াকে বলে ভাবসম্প্রসারণ।

 

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

 

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

সৌন্দর্য প্রকৃতির এক দুর্লভ উপাদান। এ সৌন্দর্য কোথায় বিশিষ্টতা অর্জন করতে সক্ষম, তা প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেয়। এর ব্যতিক্রম ঘটলে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। এই পৃথিবীর প্রত্যেকেরই একটি নিজস্ব আবাসস্থান আছে। সেই নির্দিষ্ট আবাসস্থলে তাকে যথার্থ মানায়, সেখানে তার স্বাভাবিক এবং প্রকৃত সৌন্দর্য বিকশিত হয়। বস্তুত প্রকৃতির নিয়মে যা স্বাভাবিক তাই সুন্দর।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

মায়ের কোলে শিশুকে যেমন সুন্দর দেখায় অন্য কারো কোলে শিশুকে তত সুন্দর মানায় না। এজন্য অনেক বড় বড় শিল্পী মা ও শিশুর ছবি এঁকেছেন, যেখানে শিশুকে মাতৃক্রোড়েই দেখানো হয়েছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং পাবলো পিকাসো ছাড়াও আরও অনেক ক্লাসিকাল ও আধুনিক শিল্পী শিশুকে মাতৃক্রোড়েই স্থান দিয়েছেন। তাছাড়া নিরাপত্তার দিক থেকেও মায়ের কোলই শিশুর উপযুক্ত স্থান। পক্ষান্তরে, বন্য প্রাণীদের বনে যেমন সুন্দর দেখায়, লোকালয়ে তাদের সৌন্দর্য তত বিকশিত হয় না। কেননা লোকালয়ে তারা নিরানন্দ হয়ে পড়ে। তাদের আনন্দ থাকে না বলে তাদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ক্ষুণ্ণ হয়। **

 

বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে

 

কাজেই প্রাকৃতিক নিয়মে যে যেখানে মানানসই, তাকে সেখানেই থাকতে দেয়া উচিত। তাই প্রবাদ রয়েছে, “যার যেখানে স্থান, তাকে সেখানেই থাকতে দাও।” কেননা যে যেখানে, যে পরিবেশে প্রতিপালিত হয়, তাকে সেখানেই সুন্দর মানায়। এজন্য কখনও অস্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে কাউকে বিচ্ছিন্ন করা উচিত নয়। তাতে শুধু তার সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না, তার বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয় এবং প্রাণীটি বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যায়। তাই যার যেখানে থাকার কথা সেখানেই রাখা ভালো এবং তাতেই তার মঙ্গল ও কল্যাণ ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment