প্রশ্নবোধক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

প্রশ্নবোধক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর – আজকের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” বিভাগের “বাক্যতত্ত্ব” বিষয়ের একটি পাঠ।

প্রশ্নবোধক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

 

 

প্রশ্নবোধক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর : প্রশ্নবোধক বাক্য থেকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হলে মৌলিক অর্থ বা মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিচের সাধারণ সূত্রগুলো অবলম্বন করতে হবে এবং প্রশ্নবোধক বাক্যের প্রশ্নবোধক চিহ্ন তুলে দিয়ে নেতিবাচক বাক্যে পূর্ণচ্ছেদ বা দাঁড়ি বসাতে হবে।

যেমন: সূত্র : ক। প্রশ্নবোধক বাক্যের ‘কি’ তুলে দিয়ে –‘না’, ‘নাই’, ‘নেই’, ‘নি’, ‘জানি না’, ‘বুঝি না’ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয় । যেমন : প্রশ্নবোধক : ‘তাহাদের কি স্ত্রী নাই, তাহারা কি পাষাণ ?” নেতিবাচক : ‘তাহাদের ঘরে স্ত্রী আছে কিনা, তাহারা পাষাণ কিনা জানি না। ’ প্রশ্নবোধক : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের কি দেখা আছে? নেতিবাচক : অনেকদিন মৃত্যুঞ্জয়ের দেখা নেই। সূত্র: খ।

 

 

‘প্রশ্নবোধক’ বাক্যে শুধু ‘কি’ বা ‘নাকি’ প্রশ্নবোধক অব্যয় তুলে দিতে হয়। যেমন— প্রশ্নবোধক : সরস্বতী বর দেবেন কি? নেতিবাচক : সরস্বতী বর দেবেন না । সূত্র : গ। প্রশ্নবোধক ‘কি’ অব্যয় তুলে দিয়ে ‘কিনা”, “জানি না”, ‘জানা নেই’ ইত্যাদি নেতিবাচক বক্তব্যের সাহায্যে নেতিবাচক বাক্য গঠন করতে হয়। যেমন: প্রশ্নবোধক : শিল্পের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ-শূদ্রের প্রভেদ কি প্রকট? নেতিবাচক : শিল্পের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ-শূদ্রের প্রভেদ প্রকট কিনা জানা নেই। কতিপয় উদাহরণ

 

 

উৎপাদক ব্যাকরণের অনুমানুযায়ী ভাষা হল মানুষের মন দিয়ে তৈরি একটি কাঠামো। উৎপাদক ব্যাকরণের লক্ষ্য হল অভ্যন্তরীণ ভাষার একটি সম্পূর্ণ মডেল তৈরি করা (আমি-ভাষা হিসাবে পরিচিত)। এই মডেলটি সমস্ত মানব ভাষা বর্ণনা করতে পারবে এবং যেকোনো উচ্চারণকে (যা কিনা উচ্চারণ ভাষাটির স্থানীয় ভাষাকে সঠিক বলে মনে হবে, ভবিষ্যদ্বাণী করা) এর ব্যাকরণগততার পূর্বাভাস দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

 

Leave a Comment