Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

প্রথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

প্রথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার ,  ভূমিকা : শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত জাতি না হলে দেশকে কোনোভাবেই উন্নয়নের শিখরে তোলা যায় না। আমাদের দেশের মূল সম্পদই হচ্ছে এ দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে হলে চাই শিক্ষা । অশিক্ষিত মানুষ কখনো সম্পদে পরিণত হয় না এবং তাদের সম্মিলনে গঠিত জাতি কখনই উন্নতি লাভ করতে পারে না।

প্রথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি | শিক্ষাবিষয়ক | বাংলা রচনা সম্ভার

প্রথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি

একবিংশ শতাব্দীর সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে জাতিকে সমানতালে এগিয়ে নিতে হলে দেশের জনগোষ্ঠীকে অবশ্যই সার্বিকভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। তাই দেশ তথা জাতির উন্নয়নের প্রথম শর্তই হচ্ছে শিক্ষা। এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কয়টি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প। এটি দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।

 

কেননা অশিক্ষা আমাদের দেশের একটি অন্যতম সমস্যা। দক্ষ ও শিক্ষিত মানব সম্পদ গঠন করতে ব্যর্থ হলে নতুন শতাব্দীর এ বিশ্বে টিকে থাকাই আমাদের জন্য দায় হয়ে দাড়াবে। বিশেষ করে ১৪ কোটি লোকের যে বিশাল জনগোষ্ঠী তাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করা ছাড়া জনসংখ্যা বিস্ফোরণের ধাক্কা সামলানোর কোনো পথ নেই । কেননা আমাদের দেশে যেখানে নগদ অর্থপুঁজির অভাব রয়েছে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে এ জনগণই হবে আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান মানবপুঁজি।

আর এ মানবপুঁজি গঠনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে হবে। সেজন্য শিশুদেরকে স্কুলে আনার ব্যাপারে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের শিশুদের স্কুলে না আসা বা স্কুল ত্যাগ বা মাঝ পথে ঝরে পড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারুণটি হলো অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পটি শিশুদেরকে অধিক হারে স্কুলমুখী করছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প : অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি বন্ধ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম অনুষ্ঠিত একনেক সভায় দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসাসমূহের দরিদ্র ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান কর্মসূচির সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি বৃহৎ প্রকল্প। এ প্রকল্পের সময়কাল ধরা হয় ২০০২-২০০ অর্থবছর পর্যন্ত। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। বছরে প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৬৬৩ কোটি টাকা।

মোট জনবল ১১৭ জন। এর আওতায় রয়েছে দেশের ৪৬৯টি উপজেলার প্রায় ৬৩ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা এবং প্রায় ৬০ লাখ সুবিধাভোগী ছাত্রছাত্রী। উপবৃত্তির   মাসিক হার এক সন্তান বিশিষ্ট পরিবারকে মাসিক ১০০ টাকা ও একাধিক সন্তান বিশিষ্ট পরিবারকে মাসিক ১২৫ টাকা হারে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে যথাক্রমে ৩০০ টাকা ও ৩৭৫ টাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৯৬৪টি। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬০ হাজার ৬৬৪টি এবং স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা ৩ হাজার ৩০০। সুবিধাভোগী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ৬০ লাখ ১ হাজার ৪৬০ জন ।

প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নিজে মাঠ পর্যায়ের সব সাংসদ, জনপ্রতিনিধি, বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ব্যক্তিগতভাবে ডিও লেটার মারফত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আন্তরিক প্রয়াস গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা উপজেলাগুলোতে প্রায় ৮০ হাজার ডিও লেটার দিয়ে সব স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সচিব মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সকল বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাকে ডিও লেটার মারফত একই নির্দেশনা দিয়েছেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য গত বছরের ২৮ নভেম্বর পরিপত্র প্রেরণ করেছেন। এ পরিপত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কার কি ভূমিকা এবং কিভাবে মাঠ পর্যায়ে উপবৃত্তি বিতরণ করতে হবে তা নীতিমালা আকারে কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সেমিনার/প্রশিক্ষণ, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ ইত্যাদিসহ নানাভাবে জনসাধারণকে প্রকল্প সম্বন্ধে অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের গুরুত্ব : বাংলাদেশের শিক্ষার ইতিহাসে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্পটি একটি অন্যতম মাইলফলক। আমাদের দেশের অধিকাংশ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার মূলে রয়েছে দারিদ্র্য। এমনকি শিক্ষা ক্ষেত্রেও আমাদের পিছিয়ে থাকার অন্যতম একটি কারণ হলো দারিদ্র্য । কেননা দেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে অবৈতনিক ও বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হলেও দেখা যাচ্ছে দেশের দরিদ্র শিশুদের একটি বিরাট অংশ স্কুলে আসছে না। কারণ দারিদ্র্যের কারণে এসব শিশু আর্থিক উপার্জনের ক্ষেত্রে পরিবারকে সহযোগিতা করতে হচ্ছে।

 

আবার অনেকে আছে দুমুঠো ভাত খেয়ে স্কুলে আসার মতো সামর্থ্য নেই। এমতাবস্থায় স্কুলে জ্ঞানার্জনের চেয়ে কাজ করে অন্ন যোগাড় করার বিষয়টিই তাদের কাছে মুখ্য বলে বিবেচিত হয়। আর শুধু এ কারণেই আমাদের শিশুদের একটা বিরাট অংশ হয়ত স্কুলে আসছে না, নতুবা অকালে ঝরে পড়ছে। সরকার তাই এ দরিদ্র শিশুদেরকে লেখাপড়ার আনুষঙ্গিক খরচ চালানোর পাশাপাশি তাদের পরিবারের আর্থিক অনটন লাঘবের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করে। এটি একদিকে যেমন প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভর্তির হার বাড়াচ্ছে পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনেও সহায়তা করছে। তাছাড়া শিক্ষাকে সর্বজনীন করার ক্ষেত্রেও এ কর্মসূচির যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। কেননা ধনীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধার সুযোগ নিয়ে গরিবরাও শিক্ষার সুযোগ পাবে।

উপবৃত্তি প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : পূর্বে পরিচালিত শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিটির বিরুদ্ধে ছিল দুর্নীতি ও অনিয়মের চরম অভিযোগ । খাদ্য বিতরণে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতা এড়ানোর লক্ষ্যেই সরকার পূর্বেই কর্মসূচিটিকে বাতিল করে উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করে। কেননা নগদ অর্থ বিতরণ খাদ্য বিতরণের  তুলনায় অনেক বেশি সহজতর ও কার্যকর। এছাড়াও নিম্নলিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প চালু করে :

ক. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ভর্তিহার বৃদ্ধিকরণ;

খ. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধিকরণ;

গ. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীদের ঝরে পড়ার প্রবণতা রোধকরণ;

ঘ. দেশের সকল ইউনিয়নের বিদ্যালয় গমনোযোগী শিশুদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সমতা বিধান করা;

৫. প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন ।

উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত বিদ্যালয় : যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয় উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে সেগুলো হলো :

ক. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়;

খ. রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; গ. কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত);

ঘ. স্যাটেলাইট প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং

ঙ. সরকারি অনুদানে এনজিও কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়।

উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলী: নিম্নোক্ত শর্তাবলী পূরণ করতে পারলে একজন ছাত্রছাত্রী উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত হবে :

১. দরিদ্র পরিবারের সন্তান;

২. কমপক্ষে ৮৫% বিদ্যালয়ে উপস্থিত;

৩. বার্ষিক মূল্যায়ন গড় ৪০ নম্বর প্রাপ্তি এবং

৪. সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ১০% ছাত্রছাত্রীর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ।

উপবৃত্তি বিতরণ পদ্ধতি : নিচের নিয়মাবলী অনুসরণ করে নির্বাচিত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান করা হয় :

ক. নির্বাচিত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মাতা, তার অনুপস্থিতিতে পিতা এবং উভয়ের অনুপস্থিতিতে বৈধ অভিভাবক নির্ধারিত ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় একটি হিসাব খুলবেন।

খ. প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা ইউনিট থেকে বরাদ্দপত্র প্রস্তুত করে নির্বাচিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুকূলে অর্থ ছাড় করা হয়। ব্যাংকের প্রধান কার্যায়ল থেকে স্থানীয় শাখার মাধ্যমে ত্রৈমাসিক/ধান্যাসিক কিস্তিতে নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের মাতা/পিতা/বৈধ অভিভাবকদের ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়।

পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন : মাঠপর্যায়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়মিত পরিদর্শন দ্বারা উপবৃত্তি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটও নিয়মিত মনিটরিং করবে। এর বাইরে একটি স্বাধীন মূল্যায়ন সংস্থা দ্বারা প্রকল্প বাস্তবায়ন, অগ্রগতি এবং এর সফল ও দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করণের ব্যবস্থা রয়েছে।

চিহ্নিত সমস্যাবলী : যেহেতু প্রকল্পটি একেবারে নতুন, তাই এতে লোকবলও কম। এছাড়া নব নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের অর্থ আসে ব্যাংকের মাধ্যমে। দেখাশুনা ও বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ। মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনকালে প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে তা নিম্নরূপ :

ক. উপবৃত্তি বিতরণের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ব্যাংক ম্যানেজারের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।

খ. উপবৃত্তির হার মাসে এক সন্তানবিশিষ্ট পরিবার ১০০ টাকা এবং একাধিক সন্তানবিশিষ্ট পরিবার ১২৫ টাকা যা খাদ্য কর্মসূচির তুলনায় কম।

গ. ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক উদ্যোগের অভাব এবং সঠিক সময়ে অর্থ বিতরণে অনীহা।

ঘ. সঠিক সময়ে তালিকা প্রস্তুতকরণে শিক্ষকগণের ব্যর্থতা। . ১০% বৃত্তি পরীক্ষা না দেয়ার জন্য অনেক বিদ্যালয় বাদ পড়া।

ঙ. সঠিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তির জন্য নির্বাচন ব্যর্থতা।

চ. পরিদর্শন ও মনিটরিং-এর অভাব।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

উপসংহার : বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যে কাজটি হাতে নিয়েছেন তা হচ্ছে অতি দ্রুততার সাথে দেশের সকল মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা। সরকারের অনুসৃত শিক্ষানীতিতে তা চমৎকারভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের শিক্ষার হার ৪২% থেকে ৬৫%-এ উন্নীত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের সফলতা বিশ্বের জন্য একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার ২০০৬ সালের মধ্যেই দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের অধীনে চলছে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন। আর প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে চালু প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

 

আরও দেখুন:

Exit mobile version