প্রতিবেদনের উপযোগিতা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

প্রতিবেদনের উপযোগিতা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা , বর্তমান সমাজব্যবস্থায় প্রতিবেদনের সীমা-পরিসীমা যেমন ব্যাপক তেমনি এর উপযোগিতা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বা বিবরণের জন্যে প্রতিবেদনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেদনে কোনো বিশেষ ঘটনা বা বিষয়কে সরেজমিনে তদন্ত করে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণলব্ধ ফলাফল প্রকাশ করা হয় বলে, তা থেকে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি তথ্য অবগত হওয়া যায়। কর্তৃপক্ষও সহজে সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেন।

প্রতিবেদনের উপযোগিতা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোনো বিষয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ, সংগঠন, নির্দেশনা, নিয়ন্ত্রণ, ফলাফল নিরূপণ, সমন্বয়সাধন ইত্যাদি কাজে সহায়তা পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনা, নীতি নির্ধারণে প্রতিবেদন সহায়ক হয়। কোনো বিরোধপূর্ণ ঘটনার মীমাংসার ক্ষেত্রে প্রতিবেদন মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এসব নানা বিষয়ে প্রতিবেদন ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বর্তমান সমাজব্যবস্থায় প্রতিবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

 

প্রতিবেদনের উপযোগিতা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

একটি সাধারণ প্রতিবেদনের কাঠামো বা অংশবিভাজন

একটি প্রতিবেদনকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

১. শিরোনাম ২. সূচনা অংশ ৩. বিষয়বস্তু ৪. প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয়।

১. শিরোনাম : প্রতিবেদনের শিরোনাম আকর্ষণীয় হতে হবে। প্রতিবেদনের যেটা সারাংশ, কিংবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা প্রতিবেদনের যেটা জরুরি অংশ সেটাই শিরোনাম হবে। শিরোনাম যথাসম্ভব ছোট রাখা আবশ্যক।

২. সূচনা অংশ : প্রতিবেদনের যেটা একেবারে মুখপাত বা সূচনাংশ তা প্রতিবেদনের বাদবাকি অংশের তুলনায় গুরুত্ব বেশি। তার কারণ, এটির দ্বারা আকৃষ্ট হলে তবেই একজন পাঠক গোটা খবরটি পড়তে উৎসাহী হবেন। প্রতিবেদনের যেটা জরুরি অংশ তার দিকে নজর রেখে এমনভাবে সূচনা অংশ লেখা উচিত যেন প্রতিবেদনের বাদ বাকি অংশ সম্পর্কে পাঠকের কৌতূহল জাগ্রত হয়।

 

প্রতিবেদনের উপযোগিতা | নির্মিতি | ভাষা ও শিক্ষা

 

৩. বিষয়বস্তু : এ অংশে প্রতিবেদনের শিরোনাম অনুযায়ী বিষয়বস্তুর তথ্যনির্ভর বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা থাকবে। অর্থাৎ ‘কে, কী, কেন, কবে ও কোথায়’ এসব প্রশ্নের মাধ্যমে প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো খুঁজে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রেখে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা ছাটাই করতে হবে এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে। কার নির্দেশে এবং কী ধরনের প্রতিবেদন লিখতে বলা হয়েছে, তিনি কোন বিষয়গুলো বা সমস্যা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তা স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে (অর্থাৎ অনুসন্ধান, তদন্ত, তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থান বা ঘটনাস্থল পরিদর্শন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বা প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে আলোচনা ও সাক্ষাত গ্রহণ করা) তার অনুসন্ধানমূলক বিবরণ দিতে হবে।

8. প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর ও অন্যান্য বিষয় : এ অংশে প্রতিবেদকের নাম-ঠিকানা, স্বাক্ষর, প্রতিবেদন তৈরির সময়, সংযুক্তি (কোনো প্রকার ছবি বা ডকুমেন্ট ইত্যাদি), তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে। সংবাদপত্রের জন্য প্রতিবেদক যেসব প্রতিবেদন পাঠান সে-সব প্রতিবেদনের প্রথমেই এসব বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। প্রয়োজনে আলাদা কাগজে প্রতিবেদন লিখেন।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment