পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা , সম্মানিত সভাপতি, উপস্থিত শিক্ষকমণ্ডলী, সুধীবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রী, জাতীয় শিক্ষা-সপ্তাহের সমাপনী দিবসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করার ও এ অনুষ্ঠানে কিছু বলবার সুযোগ দেয়ার জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজকদের জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা কৃতজ্ঞতা। S সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। সুধী, শিক্ষাই উন্নতির চাবিকাঠি। জাতীয় জীবনের অগ্রগতির মূলমন্ত্র হল শিক্ষা। একটি জাতি কতটা শিক্ষিত, তার ওপর নির্ভর করে সে জাতি কতটা উন্নতি লাভ করেছে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ | ভাষণ | ভাষা ও শিক্ষা
সভ্য হওয়ার পেছনে শিক্ষাই মূলমন্ত্রের ভূমিকা রাখে। শিক্ষা ছাড়া একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে, মানবেতর জীবন সংস্কৃতির মধ্যে জাতিকে বাস করতে হয়। সেজন্য শিক্ষাক্ষেত্রে গবেষণার অন্ত নেই। নিত্যনতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করার উদ্যোগ চলছে। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জীবনধারণের মৌলিক বিষয় শিক্ষাকে ঘিরে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত হয়েছিল শিক্ষা-সংস্কৃতিমূলক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার। আজ তার সমাপনী দিবসে আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকতে পেরে সকলের মতো আমি নিজেও আনন্দিত।
সুধীবৃন্দ, সাতদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন, তার ওপর সরস ও সমৃদ্ধ আলোচনা, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি সকল কার্যক্রমই শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার মহান লক্ষ্যে নিবেদিত হয়েছে। জাতীয়ভাবে এই কর্মসূচি গ্রহণের ফলে শিক্ষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য আরও ব্যাপকতর হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। আশা করি আজকের অনুষ্ঠানে আপনারা যারা উপস্থিত হয়েছেন সবাই আমার সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছবেন যে, প্রতিবছরই জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম।
সুধীবৃন্দ, সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় অংশ নিয়ে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পুরস্কারের জন্য বিজয়ী হয়েছে, তাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। পুরস্কার হিসেবে তোমাদের দেওয়া হল মূল্যবান বই। এতে যেমন তোমরা উঁচু মানের গল্প, কবিতা, উপন্যাস পাবে, তেমনি পাবে বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী সংক্রান্ত নানা বিচিত্র তথ্য। এগুলো পড়ে তোমরা উপকৃত হবে এবং মহৎ ব্যক্তি ও মনীষীদের অনুসরণে নিজেদের জীবন গড়তে সক্ষম হবে। আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে লুকিয়ে আছে অমিত সম্ভাবনার বীজ। এদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

আজ যারা পুরস্কার পেয়েছে তারা অবশ্যই তাদের যোগ্যতার ফলেই তা অর্জন করেছে। আমি বিজয়ীদের সার্বিক উন্নতি কামনা করছি। আর যারা পুরস্কার পায় নি, ভবিষ্যতে তাদের জ্ঞান সাধনা বলে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়ে সাফল্য লাভ করবে, এ শুভ কামনা করছি। ভ কামনা করছি সুধীবৃন্দ, দেশের মূল সমস্যাগুলোর অন্যতম নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার কাজে ছাত্রসমাজের ভূমিকা সবচেয়ে কার্যকর। ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ও সমাজের বহু অন্যায় উচ্ছেদ করে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। অতীত ইতিহাসে এর একাধিক দৃষ্টান্ত আছে। শিক্ষাকে গুণগত মানের দিক থেকে উন্নত করতে পারলেই জাতীয় জীবনে এগিয়ে চলা সহজ হবে। এই সুমহান কাজে আসুন আমরা সবাই সমবেত ও সচেষ্ট হই। সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
আরও দেখুন: