আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ জীবনানন্দ দাশ – ফয়জুল লতিফ চৌধুরী

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪’র ২২ অক্টোবর লোকান্তরিত হইয়াছেন। জীবদ্দশায় যাহাই ঘটিয়া থাকুক, কবুল করিতে হইবে যে মৃত্যু-পরবর্তীকালে তিনি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করিয়াছেন। আরও যে ঘটনাটি বিস্ময়কর তাহা হইল তিরোধানের পর তাহার গুচ্ছ গুচ্ছ কবিতা আবিষ্কার ও প্রকাশ। বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে যে, তাহার কিছু কবিতা চিরতরে হারাইয়া গিয়াছে, এবং অদ্যাবধি, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দেও অপ্রকাশিত কবিতা রহিয়াছে।

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ জীবনানন্দ দাশ - ফয়জুল লতিফ চৌধুরী
জীবনানন্দ দাশ

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ জীবনানন্দ দাশ

জীবদ্দশায় কবি স্বয়ং ৫টি কাব্যগ্রন্থ এবং একটি শ্রেষ্ঠ কবিতার সংকলন প্রকাশ করিয়া গিয়াছিলেন। তাহার অতি বিখ্যাত ‘রূপসী বাংলা’ এবং ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ প্রকাশিত হইয়াছে মৃত্যু-পরবর্তীকালে। গ্রন্থাকারে এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় জীবনানন্দ ১৬২টি কবিতা প্রকাশ করিয়া গিয়াছিলেন।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যাইতে পারে যে, ১৯২৭ সালে প্রকাশিত প্রথম কাব্য ‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দর কবিতার সংখ্যা ৩৫, ১৯৩৬-এ প্রকাশিত দ্বিতীয় কাব্য ‘ধূসর পান্ডুলিপি’-তে কবিতার অন্তর্ভুক্ত কবিতার সংখ্যা মাত্র ১৭, ১৯৪২ বুদ্ধদেব বসুর উদ্যোগে ‘এক পয়সার একটি’ গ্রন্থমালার অন্তর্ভুক্ত ‘বনলতা সেন’-এ কবিতার সংখ্যা ১২ এবং ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত ‘বনলতা সেন’-এ কবিতার সংখ্যা ৩০, ১৯৪৪-এ প্রকাশিত ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যে অন্তর্ভুক্ত কবিতার সংখ্যা ৩৫। তবে ইহাদের ১২টি পূর্বেই ‘বনলতা সেন’-এ পত্রস্থ হইয়াছে এবং ১৯৪৮-এ প্রকশিত কবির পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ ‘সাতটি তারার তিমির’-এ কবিতার সংখ্যা ৪০। ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ১৯৫৪’র মে মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল ৭২টি কবিতার সংকলন হিসাবে। ইহাতে প্রথমোক্ত পাঁচটি কাব্যগ্রন্থের অতিরিক্তি ১৮ প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতা স্থান লাভ করিয়াছিল।

 

কবি জীবনানন্দ দাশ
কবি জীবনানন্দ দাশ, Poet Jibanananda Das

 

‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থটি কবির মৃত্যু-পরবর্তীকালে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হইয়াছিল। ইহার কবিতা সংখ্যা ৬১। ১৯৬১-তে প্রকাশিত ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ কাব্যগ্রন্থ সংকলিত কবিতার সংখ্যা ৩৯। ১৯৭৩-এ গোপালচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘সুদর্শনা’ কাব্যগ্রন্থ সংকলিত কবিতার সংখ্যা ৪০; ময়ুখ বসুর উদ্যোগে ১৯৮০-তে প্রকাশিত ‘মনবিহঙ্গম’ গ্রন্থে কবিতার সংখ্যা ৪৯, ১৯৮১-তে ‘আলোপৃথিবী’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা ৬১, ১৯৯৮-এ প্রতিক্ষণ পাবলিকেশন্স কর্তৃক প্রকাশিত ‘হে প্রেম তোমাকে ভেবে ভেবে’ কাব্যগ্রন্থে কবিতার সংখ্যা ৬৭, ১৯৯৯-এ প্রকাশিত ‘অপ্রকাশিত একান্ন’ নামীয় সংকলনে কবিতার সংখ্যা ৫১ এবং ভূমেন্দ্র গুহের সম্পাদনায় ২০০৪-এ প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা ৬১।

জীবনানন্দ দাশ ‘কৃষ্ণা দশমী’ নামে একটি কাব্য প্রকাশের পরিকল্পনা করিয়াছিলেন। ১৯৪৮’র ১৭ ফেব্রুয়ারি লেখার খাতায় ৪০টি কবিতার নাম লিখিয়াছিলেন, যাহাদের ৩৬টি লইয়া একটি কাব্য সংকলনের সূচিপত্র প্রণয়ন করিয়াছিলেন। ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর সম্পাদনায় ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘কৃষ্ণাদশমী’ প্রকাশিত হইয়াছে। ইহাতে কবি-নির্বাচিত ‘মূল্যনাশের দিনে’, ‘বন্ধনী’, ‘আলো নিরালোকে’, ‘সৃষ্টির সময়’ এবং ‘শ্বেতপত্র’Ñ এই ৬টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয় নাই। তবে ইতোপূর্বে কোনো গ্রন্থে স্থান লাভ করে নাই এইরূপ একগুচ্ছ কবিতা যোগ করিয়া কাব্য সংকলনটির কলেবর বৃদ্ধি করা হইয়াছে।

 

কবি জীবনানন্দ দাশ
কবি জীবনানন্দ দাশ, Poet Jibanananda Das

 

এই কলেবর বৃদ্ধির ইতিহাস নতুন নহে। দেখা যাইতেছে, ১৯৭০-এ ‘মহাপৃথিবী’র সিগনেট প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ৩৯-এ উন্নীত হইয়াছে, ১৯৬৩-তে প্রকাশিত ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র নাভানা চতুর্থ সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ৯০, ১৯৮৪-তে প্রকাশিত ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’র দ্বিতীয় সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ১০৫-এ উন্নীত হইয়াছে এবং ১৯৮৪-তে প্রকাশিত ‘রূপসী বাংলা’র পান্ডুলিপি সংস্করণে কবিতার সংখ্যা ৭৩-এ উন্নীত।

বিভিন্ন কাব্যসংকলনের নবতর সংস্করণে কবিতার সংখ্যাবৃদ্ধির কারণ হইল নতুন নতুন কবিতার আবিষ্কার ও প্রকাশ। জীবদ্দশায় জীবনানন্দ কমবেশি ২৬৯টি কবিতা প্রকাশ করিয়াছিলেন, যাহার ১৬২টি ৬টি কাব্যগ্রন্থে সংকলিত হইয়াছিল। তাহার মৃত্যুর পর ট্রাংক ভর্তি পান্ডুলিপির খাতা আবিষ্কৃত হইয়াছে। কবিকন্যা অন্তত দুই দফায় পান্ডুলিপির কিছু খাতা হারাইয়া ফেলিয়াছেন। শেষ পর্যন্ত কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে জীবনানন্দ দাশের ৪৮টি কবিতা লেখার খাতা জমা পড়িয়াছে। কোন খাতায় কয়টি কবিতা রহিয়াছে তাহার হিসাব নিম্নরূপ :

খাতা ১ : কবিতার সংখ্যা ১৩, বাল্যরচনাস;

খাতা ২ : কবিতার সংখ্যা ১ বাল্যরচনা;

খাতা ৩ : কবিতার সংখ্যা ৪৩, ডিসেম্বর ১৯৩১-ফেব্রুয়ারি ১৯৩২;

খাতা ৪ : কবিতার সংখ্যা ১৪, ১৯৩১-৩২;

খাতা ৫ : কবিতার সংখ্যা ৫৭, নভেম্বর ১৯৩১-জানুয়ারি ১৯৩২;

খাতা ৬ : কবিতার সংখ্যা ৭৩, মার্চ ১৯৩৪;

খাতা ৭ : কবিতার সংখ্যা ৭০, ১৯৩৪;

খাতা ৮ : কবিতার সংখ্যা ৩৯, ১৯৩৪;

খাতা ৯ : কবিতার সংখ্যা ৬০, ১৯৩৪;

খাতা ১০ : কবিতার সংখ্যা ৫০, ১৯৩৪-৩৬;

খাতা ১১ : কবিতার সংখ্যা ৮৩, এপ্রিল ১৯৩৬;

খাতা ১২ : কবিতার সংখ্যা ৯০, এপ্রিল ১৯৩৬;

খাতা ১৩ : কবিতার সংখ্যা ৭২, জুন ১৯৩৭;

খাতা ১৪ : কবিতার সংখ্যা ৫৬, অক্টোবর ১৯৩৭;

খাতা ১৫ : কবিতার সংখ্যা ৩২ ডিসেম্বর ১৯৩৭;

খাতা ১৬ : কবিতার সংখ্যা ৩৮, মার্চ ১৯৩৮;

খাতা ১৭ : কবিতার সংখ্যা ৫৪, এপ্রিল ১৯৩৮ বরিশাল;

খাতা ১৮ : কবিতার সংখ্যা ১৬, মে-জুন ১৯৩৮ বরিশাল;

খাতা ১৯ : কবিতার সংখ্যা ২১, জুন ১৯৩৮ বরিশাল;

খাতা ২০ : কবিতার সংখ্যা ৬২, নভেম্বর ডিসেম্বর ১৯৩৮-জানুয়ারি ১৯৩৯;

খাতা ২১ : কবিতার সংখ্যা ৪৯, নভেম্বর ডিসেম্বর ১৯৩৮ জানু-ফেব্রু-এপ্রিল-মে ১৯৩৯;

খাতা ২২ : কবিতার সংখ্যা ৪০, মে ১৯৩৯ বরিশাল;

খাতা ২৩ : কবিতার সংখ্যা ৬০, জুন-সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ অক্টোবর-নভেম্বর পুণা ১৯৩৯;

খাতা ২৪ : কবিতার সংখ্যা ৫০, ১৯৪৫-৪৬;

খাতা ২৫ : কবিতার সংখ্যা ৫২, অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৯ পুণা জানুয়ারি ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ২৬ : কবিতার সংখ্যা ৪৬, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ২৭ : কবিতার সংখ্যা ৪০, ফেব্রুয়ারি-মে ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ২৮ : কবিতার সংখ্যা ৩২, মে ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ২৯ : কবিতার সংখ্যা ২৪, মে-জুন ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ৩০ : কবিতার সংখ্যা ৫৬, জুন-সেপ্টেম্বর ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ৩১ : কবিতার সংখ্যা ৩৬, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ৩২ : কবিতার সংখ্যা ৭০, অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯৪০ বরিশাল;

খাতা ৩৩ : কবিতার সংখ্যা ৬৪, ডিসেম্বর ১৯৪০ মে ১৯৪১ বরিশাল;

খাতা ৩৪ : কবিতার সংখ্যা ৭৪, মে-জুন ১৯৪৩, অগাস্ট ১৯৪১ বরিশাল;

খাতা ৩৫ক : কবিতার সংখ্যা ৮২, অগাস্ট ১৯৪১-মার্চ ১৯৪২ বরিশাল;

খাতা ৩৫খ : কবিতার সংখ্যা ৭১, মার্চ-এপ্রিল ১৯৪২, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৪৩;

খাতা ৩৬ : কবিতার সংখ্যা ৪৪, মার্চ-এপ্রিল ১৯৪২, ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫, মে ১৯৪৫;

খাতা ৩৭ : কবিতার সংখ্যা ২২, মে-জুন ১৯৪৫, সেপ্টেম্বর ১৯৪৫;

খাতা ৩৮ : কবিতার সংখ্যা ১৪, অক্টোবর ১৯৪৫-জানুয়ারি ১৯৪৬;

খাতা ৩৯ : কবিতার সংখ্যা ৪৮, অক্টোবর ১৯৫০, ১৯৪৫-৪৬, নভেম্বর ১৯৫১;

খাতা ৪০ : কবিতার সংখ্যা ৩০, মে-জুন ১৯৪৬;

খাতা ৪১ : কবিতার সংখ্যা ৪৪, মে-জুন ১৯৪৬ অগাস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৪৬;

খাতা ৪২ : কবিতার সংখ্যা ১১, জুন ১৯৪৬;

খাতা ৪৩ : কবিতার সংখ্যা ৫৭, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৪৬, মে-জুন ১৯৪৭, জুন ১৯৪৬, ১৯৪৪-৪৬;

খাতা ৪৪ : কবিতার সংখ্যা ৩০, মে-জুন ১৯৪৭ কলকাতা বরিশাল;

খাতা ৪৫ : কবিতার সংখ্যা ৪১, নভেম্বর ১৯৫১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৫২;

খাতা ৪৬ : কবিতার সংখ্যা ১৭, নভেম্বর ১৯৫১ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯৫২;

খাতা ৪৭ : কবিতার সংখ্যা ৪, মে-জুন ১৯৫৪।

 

কবি জীবনানন্দ দাশ
কবি জীবনানন্দ দাশ, Poet Jibanananda Das

 

লক্ষ্য করা যাইতে পারে, দুইটি খাতা ৩৫ক এবং ৩৫খ চিহ্নিত। কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরির ‘রেয়ার বুকস’ সেকশনের কর্ণধার শ্রীযুক্ত অরুণকুমার চক্রবর্তী মহাশয়ের কল্যাণে এই তালিকা প্রণয়ন সম্ভব হইল। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তরল করিয়া তিনি জীবনানন্দ দাশের ৪৮টি কবিতার খাতা দেখিবার অবারিত সুযোগ করিয়া দিয়াছিলেন।

জীবনানন্দ দাশের কবিতার খাতা উদ্ধার, পাঠ ও মুদ্রণযোগ্য প্রণয়নে পান্ডুলিপি প্রধান ভূমিকা কবি ভূমেন্দ্র গুহের। মৃত্যুর পূর্বে তাহার সম্পাদনায় প্রতিক্ষণ ‘পান্ডুলিপির কবিতা’ শিরোনামে ১৪ খ- গ্রন্থ প্রকাশিত করিয়াছে। ইহাতে কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত ১ হইতে ৩৪ সংখ্যক ৩৪টি কবিতার খাতার ১৫৭০টি মুদ্রিত হইয়াছে। জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত ৪৮টি খাতায় কবিতার সংখ্যা ২১৫২। সুতরাং বলা যাইতে পারে, আরও ৫৮২টি কবিতার পা-ুলিপি সংস্করণ মুদ্রণের অপেক্ষায় রহিয়াছে যদিও ইহাদের বেশ কিছু ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রন্থে ও পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছে।

কিন্তু এইখানেই কাহিনীর শেষ নহে। সম্প্রতিককালে কলকাতার সপ্তর্ষি প্রকাশন ‘অপ্রকাশিত’ শিরোনামে দুই খন্ডে জীবনানন্দের আরও ৬৩টি কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করিয়াছে যাহার পান্ডুলিপি জাতীয় গ্রন্থাগারে রক্ষিত কবিতার অতিরিক্ত। অতএব সব মিলাইয়া কবি জীবনানন্দ দাশের গ্রন্থিত-অগ্রন্থিত কবিতার সংখ্যা দাঁড়াইতেছে ২২১৫। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এক সাক্ষাৎকারে কবি ভূমেন্দ্র গুহ অনুমান করিয়াছিলেন জীবনানন্দর কবিতার সংখ্যা কমবেশি ২৪০০ হইবে। তাহার অনুমান বাস্তবানুগই ছিল বলা যাইতে পারে।

‘জীবনানন্দ দাশের কাব্যসমগ্র’ নামে প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা কম নহে। ইহার মধ্যে দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় সম্পাদিত সংকলনটিই বহুল পরিচিত। ২০১৫’র নভেম্বরে প্রকাশিত ইহার সর্বশেষ সংস্করণে তিনি ৬৮৭টি কবিতা (গানসহ ৬৯৬) সংকলিত করিয়া দেন। ইতোমধ্যে অন্তত ১৫৭০টি কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হইলেও তিনি মাত্র ৬৮৭ কেন গ্রহণ করিয়াছেন, তাহা কৌতূহলোদ্দীপক। তবে প্রতীয়মান হয়, কাব্যসমগ্রে সংকলনের পূর্বে কিছু যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রহিয়াছে। দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রয়োজনটি সম্ভবত বিবেচনায় গ্রহণ করিয়াছেন।

—ফয়জুল লতিফ চৌধুরী

 

Leave a Comment