নবীনবরণ উদযাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র | পত্র বা চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা

নবীনবরণ উদযাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র | পত্র বা চিঠি | ভাষা ও শিক্ষা , চিঠি বা পত্র হলো একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত তথ্যধারক বার্তা। চিঠি দুজন বা দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে; বন্ধু ও আত্মীয়দের আরও ঘনিষ্ট করে, পেশাদারি সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেয়।

নবীনবরণ উদযাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

কুমিল্লা / ১০ জুলাই, ২০০০

সুপ্রিয় ‘ক’,

প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। তোমার পত্র পেয়েছি সপ্তাহ খানেক আগে। গতকাল সমাপ্ত হওয়া নবীনবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে বিগত কয়েকদিন আমার ব্যস্ততাপূর্ণ দিন কেটেছে। তাই উত্তর দিতে এ বিলম্ব।প্রিন্সিপাল স্যারের নির্দেশে গঠিত হয় নবীনবরণ উদযাপন কমিটি। কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল দশটায়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় জেলা প্রশাসক। এছাড়া স্থানীয় গুণী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজ অধ্যক্ষ। অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলেজ ভবন সাজানো হয়েছিল অপরূপ সাজে। নবীনদের অভ্যর্থনা জানাতে কাগজ কেটে বিভিন্ন ফুল ও লেখার দেয়াল শোভাময় করে তোলা হয়েছিল।

 

নবীনবরণ উদযাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

 

দিনটি ছিল রোববার। সকাল ন’টায় কলেজের উদ্দেশে পা বাড়াতেই অনাবিল আনন্দে আমার মনটা ভরে উঠল। কিছু সময়ের ব্যবধানেই কলেজে গিয়ে হাজির হলাম। শুরু হল নবীনবরণ অনুষ্ঠান। পবিত্র কালামে পাক থেকে তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর ‘নবীনবরণ শুভেচ্ছা ভাষণ’ পাঠ করে শোনালেন কলেজ ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হানুল কবীর। নবীনদের পক্ষ থেকেও প্রতিভাষণ পাঠ করে শোনানো হয়।

 

নবীনবরণ উদযাপনের বিবরণ দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

 

তারপর নবীনদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য উপস্থাপন করলেন মাননীয় অধ্যক্ষ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিশেষভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে কলেজের সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার সুমহান দায়িত্বের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন। আহ্বান জানান সুশিক্ষায় আলোকিত হওয়ার জন্য। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, অধ্যবসায়— এসব বিষয়ে অনেক নীতিবাক্য ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে নানা উপদেশ দিলেন। অধিকাংশ বক্তার কণ্ঠেই ধ্বনিত হলো আমাদের প্রতি একটিই আকুতি— তা হল ছাত্র-রাজনীতিতে আমরা যাতে জড়িত না হই।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমি বক্তৃতাদানের জন্য মনোনীত হয়েছিলাম। প্রস্তুতিও ছিল। তা সত্ত্বেও উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সামনে কথা বলতে গিয়ে সত্যিই নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। তবে নার্ভাসনেস কাটিয়ে বক্তব্য শেষ করেছিলাম সুন্দরভাবেই। সে যাক, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সত্যিকার অর্থেই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। নতুন বন্ধু ও সহপাঠীদের কথা পরে একদিন লিখব। আজ আর নয়। তুমি ভালো থেকো, সুন্দর থেকো, শ্রেণিভেদে সালাম ও স্নেহ রইল ।

ইতি

গুণমুগ্ধ

আরও দেখুন:

Leave a Comment