ধাতু বিভক্তির রূপ | প্রযোজক ধাতুর বিভক্তি | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা ,
Table of Contents
ধাতু বিভক্তির রূপ | প্রযোজক ধাতুর বিভক্তি | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা
বর্তমান কাল
মন্তব্য : -ইতেছ, –ছ, –ইয়াছ, – এছ বিভক্তিগুলোর উচ্চারণ অ-কারান্ত ।
অতীত কাল
ভবিষ্যৎ কাল
মন্তব্য : ইল, ল, –ইত, –ইতেছিল, ছিল, – এছিল বিভক্তিগুলো উচ্চারণে অ-কারান্ত
প্রযোজক ধাতুর বিভক্তি
বর্তমান কাল
অতীত কাল
ভবিষ্যৎ কাল
জ্ঞাতব্য : ধাতুর প্রযোজক রূপ সাধনে তারকা চিহ্নের (*) স্থলে মূল ধাতুর পরে (আ-কার) সংযোজিত হবে, কিন্তু ০ স্থলে হবে না।
মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু যেসকল ধাতুকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না তাদের মৌলিক বা সিদ্ধ ধাতু বলে। উদাহরণ: কর্, চল, দেখ্, খেল,পড়, খা। উৎস বিবেচনায় মৌলিক ধাতুগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়: (ক) বাংলা ধাতু (খ) সংস্কৃত ধাতু এবং বিদেশি ধাতু সাধিত ধাতু কোনো মৌলিক ধাতু কিংবা নাম শব্দের সাথে আ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয় তাকে সাধিত ধাতু বলে। উদাহরণ: কর + আ = করা, দেখ্ + আ = দেখা, পড়্+আ= পড়া। সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু বিশেষ্য , বিশেষণ ও ধ্বনাত্বক অব্যয়ের সাথে কর্, দে, হ, পা ইত্যাদি মৌলিক ধাতু যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠন করে তাকে সংযোগমূলক বা যৌগিক ধাতু বলে। উদাহরণ: পূজা কর্, রাজি হ, কষ্ট পা, শাস্তি দে।
অন্যান্য ধাতুসমূহ নাম ধাতু নাম শব্দ অথ্যাৎ বিশেষ্য, বিশেষণ, অব্যয় প্রভৃতি শব্দ কখনও কখনও প্রত্যয়যোগে, কখনওবা প্রত্যয় যুক্ত না হয়ে ক্রিয়ারূপে ব্যবহৃত হয়, এ ধরনের ক্রিয়ার মূলকে নাম ধাতু বলে। উদাহরণ: জুতা > জুতানো, বেত > বেতানো, হাত > হাতানো, বাঁকা > বাঁকানো। ণিজন্ত বা প্রযোজক ধাতু মৌলিক ধাতুর সাথে ‘আ’ বা ‘ওয়া’ যুক্ত হয়ে ণিজন্ত বা প্রযোজক ধাতু গঠিত হয়। উদাহরণ: কর + আ =করা। যা কিছু হারায় গিন্নী। বলেন, “কেষ্টা বেটাই চোর”, এখানে হারায় হলো প্রযোজক ধাতু। এটা এক ধরনের সাধিত ধাতু।
ধ্বন্যাত্মক ধাতু ধাতুরূপে ব্যবহৃত অনুকার (অনুকার = সাদৃশ্যকরণ, অনুকরণ) ধ্বনিকে ধ্বন্যাত্মক ধাতু বলে। উদাহরণ: ফোঁসা, হাঁপা, মচ্মচা, টল্টলা। নঞ্র্থক ধাতু “অস্তি” বাচক হ ধাতুর পূর্বে নঞ্র্থক ‘ন’ শব্দের যোগে গঠিত নহ্ ধাতুকে নঞ্র্থক ধাতু বলে। উদাহরণ: নহি, নই, নহ, নও, নহে, নয়।
ধাতুর মূল শব্দ বা ধাতুর মূলকে প্রকৃতি বলে। সাধারণ অর্থে শব্দের মূল বলতে মৌলিক শব্দকে এবং ধাতুর মূল বলতে সিদ্ধ বা মৌলিক ধাতুকেই বুঝায়। উদাহরণ: “দোকান” শব্দের মূল “দোকান”, “ঢাকা” শব্দের মূল “ঢাকা” এবং লিখ ধাতুর মূল “লিখ্”, কর ধাতুর মূল “কর্”। প্রকৃতি দুই প্রকার।
ক্রিয়া-প্রকৃতি: ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি হলো ধাতুর মূল। ধাতু-প্রকৃতি বা ক্রিয়া-প্রকৃতি প্রত্যয় বা বিভক্তিযুক্ত না হয়ে শব্দরূপে ব্যবহৃত হয় না। যে সমস্ত ধাতু শব্দরূপে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, সেগুলোতে একটি “শূন্য প্রত্যয় (০)” যুক্ত আছে বলে ধরে নেওয়া হয় । উদাহরণ: লিখ্, কর্ ।
আরও দেখুন:
- যৌগিক ক্রিয়ার গঠন ও প্রয়োগ | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা
- অসমাপিকা ক্রিয়ার বিভক্তি ও প্রয়োগ | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা
- ক্রিয়া বিভক্তির রূপভেদ | ক্রিয়ার বিভক্তি ও প্রয়োগ | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা
- কয়েকটি অসম্পূর্ণ ধাতু | ক্রিয়া বিভক্তি | ক্রিয়া বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি | ভাষা ও শিক্ষা
- আমনে বাম্পার ফলন হবে,খাদ্য সংকট হবে না , পেঁয়াজ রপ্তানিও করতে পারব- কৃষিমন্ত্রী