তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি প্রার্থনা করে আবেদনপত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা ,প্রয়োজনভেদে প্রতিটি আবেদন পত্র লেখার নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই কিভাবে আবেদনপত্র লেখার নিয়ম অনুসরণ করে দরখাস্ত লিখবো এবং দরখাস্তে কি কি লিখতে হবে এসব বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম নিয়ে কোনো বিষয় অজানা থাকলে বা মনে দ্বিধাগ্রস্ত হলেও অন্য কারো সাহায্য গ্রহন করতে অস্বস্তিবোধ হয়। কারন শিক্ষাগত যোগ্যতার বিপরীতে কারো কাছে এধরনের সহযোগিতা চাওয়াটা বিব্রতকর মনে ওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।তাই আমাদের উচিৎ আবেদনপত্র লেখার নিয়মগুলো সঠিকভাবে আয়ত্বে নিয়ে আসা। কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয়, কোন আবেদনপত্রের ফরম্যাট কেমন হবে, কি ধরনের তথ্য সংযুক্তি হিসেবে দিতে হবে, সেসব বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করা।
ছুটির আবেদন পত্র : এ-ধরনের পত্রে ছুটির আবেদন করা হয়। আবেদন পত্রের বক্তব্য হবে সুস্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত। ছুটির উপযুক্ত কারণও উল্লেখ থাকতে হবে। বাহুল্য অবশ্যই বর্জনীয়। এতে কোনো প্রকার আবেগ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা যাবে না।
” চাকরির আবেদন-পত্র : এ-ধরনের পত্রে চাকরির প্রার্থনা করে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়। চাকরির আবেদন-পত্রে বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকে বলে বিজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হয়। বাহুল্য অবশ্যই বর্জনীয়। এতে কোনো প্রকার আবেগ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করা যাবে না।
বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।

তিন দিনের নৈমিত্তিক ছুটি প্রার্থনা করে আবেদনপত্র
তারিখ : ১৩ আগস্ট, ২০০০
বরাবর
অধ্যক্ষ, সরকারি কলেজ, যশোর।
বিষয় : নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজনে আমি বিগত ১০/০৮/২০০৬ থেকে ১২/০৮/২০০৬ পর্যন্ত কর্মস্থলে হাজির হতে পারি নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে উক্ত তিনদিনের নৈমিত্তিক ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।
বিনীত
হিসাবরক্ষক
আরও দেখুন: