Site icon Bangla Gurukul [ বাংলা গুরুকুল ] GOLN

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সংবাদ প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সংবাদ প্রতিবেদন | প্রতিবেদন | ভাষা ও শিক্ষা ,ভাইরাসবিদ, চিকিৎসক ও হাসপাতাল সূত্র থেকে ঢাকা শহরে আতঙ্কগ্রস্ত হারে ডেঙ্গুরোগ বিস্তারের আভাস পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যেই এই রোগ বিভিন্ন এলাকায় মহামারি আকারেও দেখা দিয়েছে।

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সংবাদ প্রতিবেদন

পুরোনো ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকায় এ রোগে গেল দুই সপ্তাহে ৬ জন রোগী মারা যায়। স্থানীয় হাসপাতালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায় যে, এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গুজ্বরে এ পর্যন্ত ৩ জন শিশু সহ মৃতের সংখ্যা ১৬ জন। স্থানীয় লোকদের ধারণা ছিল কিছুদিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে, কিন্তু দিন দিন সংক্রমণ বেড়েই চলছে। পুরাতন ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের মতো একটি জনাকীর্ণ-শহরে ডেঙ্গুবাহক মশার আকস্মিক প্রকোপ খুবই উদ্বেগজনক, কেননা এখানে মশার অবাধ বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ আছে। এমতাবস্থায় জনগণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভয়ানক রোগটি মহামারি আকারে দেখা দেওয়ার আগেই যেন সরকার ও কর্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেয় তার জন্য স্থানীয় জনগণ কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে।

 

জীবনঘাতী ডেঙ্গু রোধে প্রয়োজন সচেতনতা

রোগের কারণ ও তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে যে,

১। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জনগণের যথেষ্ট সচেতনতার অভাবেই ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২। ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কেও জনগণের কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। এবং এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত এখানে কোনো প্রকার প্রতিষেধক বা প্রতিরোধ বা সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম কিংবা মশক নিধন কার্যক্রমও নেওয়া হয় নি।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ডেঙ্গুজ্বরের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্রথমেই জানতে হবে ডেঙ্গুজ্বর কেন হয়? ডেঙ্গুজ্বর একটি ডেঙ্গু- ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ। সাধারণত মানুষের আবাসস্থলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দিনেরবেলায় দংশনকারী Aedes aegypti মশা এসব ভাইরাসের বাহক। Aedes aegypti মশার লার্ভা বেশিরভাগই পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফেলে দেওয়া নারিকেলের খোল, ফুলদানি, ফুলের টবের নিচের থালায় জমে থাকা পানিতে, এমনকি গাছের গর্তে এবং এ ধরনের অন্যান্য প্রাকৃতিক স্থানে বড় হয়। পূর্ণবয়স্ক মশা সাধারণত ঘরের ভেতর অন্ধকার জায়গায় আলমারি, বিছানা বা খাটের তলায় থাকতে পারে। এই প্রজাতি দিনেরবেলায় বেশি সক্রিয় থাকে, বেশিরভাগ কামড়ের ঘটনা ঘটে সকালের প্রথম দিকে বা বিকালের শেষে।

 

 

ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই। দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাই কেবল রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। এর একমাত্র পদ্ধতি হল এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ। আর এই নিয়ন্ত্রণের জন্য সবাইকে মশা বৃদ্ধির অকুস্থল যেমন- পরিত্যক্ত পাত্র, টায়ার, ডাবের খোসা ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে এবং বাসস্থানের আশপাশ থেকে জমা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। বস্তুত কার্যকর ও টেকসই নিবারণ ব্যবস্থার জন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে অবশ্যই স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্তি আবশ্যক ।

আরও দেখুন:

Exit mobile version