চাব না পশ্চাতে মোরা সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
চাব না পশ্চাতে মোরা সারাংশ সারমর্ম লিখন
চাব না পশ্চাতে মোরা… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
চাব না পশ্চাতে মোরা কবিতা
চাব না পশ্চাতে মোরা,
মানিব না বন্ধন ক্ৰন্দন হেরিব না দিক—
গণিব না দিনক্ষণ, করিব না বিতর্ক বিচার-
উদ্দাম পথিক। মুহূর্তে করিব পান মৃত্যুর ফেনিল উন্মত্ততা
উপকণ্ঠ ভরি-
খিনু শীর্ণ জীবনের শত লক্ষ ধিক্কার লাঞ্ছনা
উৎসর্জন করি।

চাব না পশ্চাতে মোরা সারমর্ম:
অতীতের মোহবন্ধন কখনো প্রাণশক্তিতে বলীয়ান জাতির অগ্রযাত্রার অন্তরায় হতে পারে না। সব পিছুটান, সংস্কার ও বিধি-নিষেধের বেড়াজাল ছিন্ন করে জীবন বাজি রেখে তারা এগিয়ে যায়। জড়াগ্রস্ত লাঞ্ছিত জীবনের পরিবর্তে নতুন সম্ভাবনাময় জীবন রচনাই তাদের লক্ষ্য।
নির্ধারিত মূল অংশটি বারবার পড়ে তা থেকে মূল কথাটি, অর্থাৎ মূল ভাব খুঁজে বের করতে হবে। মূল বিষয়টি না বুঝে অনুমানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। মূল ভাবটি রচনার প্রথমাংশ, মধ্যাংশ বা শেষাংশের যে- কোন স্থানে থাকতে পারে। মূল অংশটিই আলোচ্য; অন্য অংশগুলো বর্জনীয়। ভাব সবসময় অভিধানগত অর্থে ধরা পড়ে না। তার ব্যঞ্জনাধর্মী অর্থ বা তাৎপর্যকে উপলব্ধি করতে হবে।
সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:
সারাংশ সারমর্ম বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।
শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।
আরও দেখুন: