কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা ,প্রদত্ত চরণ বা গদ্যাংশটি একাধিকবার অভিনিবেশসহকারে পড়তে হবে। লক্ষ্য হবে প্রচ্ছন্ন বা অন্তর্নিহিত ভাবটি কী, তা সহজে অনুধাবন করা। সহজ ভাষায়, সংক্ষেপে ভাবসত্যটি উপস্থাপন করা উচিত। প্রয়ােজনে যুক্তি উপস্থাপন করে তাৎপর্যটি উদ্ধার করতে হবে।

 

কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

 

কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে

মানুষ চিরদিন সুখের অভিলাষী। সেই সুখ লাভের জন্য তাকে সাধনা করতে হয়, নানা ধরনের কষ্ট স্বীকার করতে হয়। অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে তাকে সুখের স্বর্গ রচনা করতে হয়। দুঃখ লাভ ছাড়া সুখ লাভ হয় না। এটাই জীবনের বৈশিষ্ট্য। তাই পরিশ্রম বা দুঃখকষ্টের ভয়ে কর্ম থেকে দূরে থাকা অনুচিত

 

কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে | ভাব-সম্প্রসারণ | ভাষা ও শিক্ষা

 

 

পৃথিবীতে মানুষের চলার পথ কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ নয়, বরং কণ্টকাকীর্ণ। জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের পূর্বশর্ত হলো- এ কণ্টকাকীর্ণ দুঃখময় পথের সমস্ত প্রতিকূলতাকে হাসিমুখে বরণ করে অগ্রসর হওয়া। দুঃখকে বরণ করতে না শিখলে সুখ অর্জন করা সম্ভব নয়। কাঁটার আঘাতের ভয়ে কেউ পদ্মফুল সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকলে, তার পক্ষে কখনোই পদ্মফুল সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। ক্লান্তির ভয়ে পথিক ভীত হয়ে পড়লে তার পক্ষে কখনো গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। তেমনি মানবজীবনের কোনো মহৎ কর্মই ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দুঃখ-কষ্ট ছাড়া সফল হয় না।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জীবনে চলার পথের সকল প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে দৃপ্ত সংকল্পে মানুষকে অগ্রসর হতে হয় ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জনের জন্যে। পৃথিবীতে যারা আজ স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিত্ব, তাদের প্রত্যেককেই অবিরাম দুঃখকষ্টের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাদের অতিক্রম করতে হয়েছে নানা বাধাবিপত্তি। সুখ আর দুঃখ যেন গাড়ির চাকার মতো ঘোরে। সুখকে লাভ করতে হয় দুঃখের মধ্য দিয়ে।জীবনে সুখ পেতে হলে দুঃখকে বরণ করতে হয়। জীবনের সফলতা লাভ করতে হলে আমাদের জীবনপথের সকল বাধা-বিপত্তি ও দুঃখ-দুর্দশা বরণ করেই অগ্রসর হতে হবে। মনে রাখতে হবে দুঃখের সাধনাই সিদ্ধির সাধনা।

আরও দেখুন:

Leave a Comment