কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী সারাংশ সারমর্ম

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী সারাংশ সারমর্ম লিখন

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী .. রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী কবিতা

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী,

“গৃহ তেয়াগিব আজি ইষ্ট-দেব লাগি।

কে আমারে ভুলাইয়া রেখেছে এখানে!”

দেবতা কহিলা, -“আমি।” শুনিল না কানে

সুপ্তিমগ্ন শিশুটিরে আকড়িয়া বুকে প্রেয়সী শয্যার প্রান্তে ঘুমাইছে সুখে।

কহিল, “কে তোরা, ওরে মায়ার ছলনা। ” দেবতা কহিলা, “আমি”। কেহ শুনিল না।

ডাকিল শয়ন ছাড়ি, “তুমি কোথা প্রভু!” দেবতা কহিলা, “হেথা”। শুনিল না তবু। স্বপনে কাঁদিল শিশু জননীরে টানি,

দেবতা কহিলা, “ফির”। শুনিল না বাণী।

দেবতা নিঃশ্বাস ছাড়ি কহিলেন, “হায়, আমারে ছাড়িয়া ভক্ত চলিল কোথায়!”

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী সারমর্ম :

সংসারধর্ম ত্যাগ করে কখনো বিধাতাকে পাওয়া যায় না। সংসারের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এবং স্ত্রী- ছেলেমেয়ে সকলের মাঝেই বিধাতা বিরাজ করে। তাই স্রষ্টাকে পেতে হলে তার সৃষ্টিকেই আগে ভালবাসতে হবে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।

 

কহিল গভীর রাত্রে সংসার বিরাগী | সারাংশ সারমর্ম | ভাষা ও শিক্ষা

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

 

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment