কতবার এল কত না দস্যু সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।
Table of Contents
কতবার এল কত না দস্যু সারাংশ সারমর্ম
কতবার এল কত না দস্যু… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।
কতবার এল কত না দস্যু কবিতা
কতবার এল কত না দস্যু, কত না বার
ঠগে ঠগে হল আমাদের কত গ্রাম উজাড়
কত বুলবুলি খেল কত ধান কত মা গাইল বর্গীর গান
তবু বেঁচে থাকে আমার প্রাণ –
এ জনতার
কৃষাণ, কুমোর, জেলে, মাঝি, তাঁতি আর কামার, অমর দেশের মাটিতে মানুষ তাদের প্রাণ, মূঢ় মৃত্যুর মুখে জাগে তাই কঠিন গান।
কতবার এল কত না দস্যু সারমর্ম :
ইতিহাসের দীর্ঘ পরিক্রমায় এ দেশের বুকে নেমে এসেছে ঠগ, দস্যু ও বর্গির আক্রমণ, জনপদ হয়েছে লুণ্ঠিত। কিন্তু গ্রাম বাংলার শ্রমজীবী মানুষের শ্রমে ও সৃজনে অব্যাহত রয়েছে জীবনধারা। তাদের মৃত্যুঞ্জয়ী কর্মশক্তিতে জেগেছে অমরত্বের গান।

নির্ধারিত মূল অংশটি বারবার পড়ে তা থেকে মূল কথাটি, অর্থাৎ মূল ভাব খুঁজে বের করতে হবে। মূল বিষয়টি না বুঝে অনুমানের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। মূল ভাবটি রচনার প্রথমাংশ, মধ্যাংশ বা শেষাংশের যে- কোন স্থানে থাকতে পারে। মূল অংশটিই আলোচ্য; অন্য অংশগুলো বর্জনীয়। ভাব সবসময় অভিধানগত অর্থে ধরা পড়ে না। তার ব্যঞ্জনাধর্মী অর্থ বা তাৎপর্যকে উপলব্ধি করতে হবে।
সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:
সারাংশ সারমর্ম বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।
শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।
আরও দেখুন: