এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময় সারাংশ সারমর্ম

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময় সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময় সারাংশ সারমর্ম লিখন

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে- মঙ্গলময়… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময়

 

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময় কবিতা

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে -মঙ্গলময়, দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়—

লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় আর— দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভার,

এই চিরপেষণযন্ত্রণা, ধূলিতলে এই দাসত্বের রজ্জু, ত্রস্ত নতশিরে এ বৃহৎ লজ্জারাশি চরণ আঘাতে

এই নিত্য- অবনতি, দণ্ডে পলে পলে এই আত্ম-অবমান, অন্তরে বাহিরে

সহস্রের পদপ্রান্ততলে বারংবার মনুষ্য-মর্যাদা-গর্ব চির পরিহার—

চূর্ণ করি দূর করো। মঙ্গলপ্রভাতে মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে উদার আলোক-মাঝে, উন্মুক্ত বাতাসে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময় সারমর্ম :

লোকভয়, রাজভয়, মৃত্যুভয় প্রভৃতির ভয় মনুষ্যত্বের বিকাশ ব্যাহত করে। ব্যক্তিত্ব যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়, প্রাণে আসে দীনতার দুর্বলতা। সুতরাং মাথা তুলে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে হলে প্রথমে ভেতরের এই ভয়গুলোকে মন থেকে দূর করতে হবে।

 

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে হে মঙ্গলময়

বক্তা বা লেখক মনের বিচিত্র ও গভীর ভাব তাঁর নানা উপমা, অলংকার, বিশেষণ ইত্যাদির সাহায্যে প্রকাশ করেন। রচনা গদ্য কিংবা কবিতা যাই হোক, তার মৌলিক অংশটুকু বিবেচনার বিষয়। বক্তা বা লেখকের বক্তব্যের সার বা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অংশই সারাংশ। পক্ষান্তরে কোনো গদ্য বা পদ্য রচনার মূলভাব বা মর্মকথা সক্ষেপে গুছিয়ে লেখার নামই সারমর্ম। প্রদত্ত গদ্য বা গদ্যাংশের ভাষা বড় কথা নয়, ভাষাতীত ভাব, অর্থাৎ ভাবের মর্মার্থ বিবেচনার বিষয়। মূলীভূত ভাবের যথার্থ ব্যঞ্জনা বা লেখকের উদ্দিষ্ট বক্তব্য খুঁজে বের করাই সারমর্ম লিখনের প্রথম শর্ত। কল্পনা বা ভাব দ্যোতনার মাধ্যমে নিজস্ব ভাষায় সংক্ষেপে সারমর্ম লিখতে হয়।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment