এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র| আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করার ক্ষেত্রে আমরা এধরনের পত্রের ব্যবহার করে থাকি। প্রাতিষ্ঠানিক, দাপ্তরিক নানা প্রয়োজনে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের করা দরখাস্ত, অফিসে ছুটির জন্য আবেদন, চাকরির আবেদন পত্র সহ নানা বিষয়ে এধরনের পত্র লেখা হয়ে থাকে।

 

এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে। বাংলা দরখাস্ত কাজের সুবিধার্তে অনেক সময় বিভিন্ন প্রকারের আবেদন পত্র লিখতে হয়। কিন্তু সঠিকভাবে বাংলা দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার অভাবে আমরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে দরখাস্ত বা আবেদন লেখার নিয়ম জেনে নিতে হয়। বিশেষ ভাবে চাকরি প্রার্থীগণ চাকরির আবেদন বা চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে না জানার কারনে অনেক সমস্যায় পড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, লজ্জার কারনে এ বিষয়ে অন্যের দ্বারস্ত হয়ে পরামর্শও নেন না। যার ফলে একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ভালোমানের দরখাস্ত লেখাও হয় না। এতে করে চাকরির আবেদনটি কর্তৃপক্ষের নিকট পছন্দ হয় না।

 

এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

এলাকায় সন্ত্রাসীর উপদ্রব সম্পর্কে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র

তারিখ : ১৫ এপ্রিল, ২০০০

সম্পাদক,

দৈনিক জনকণ্ঠ ২৪/এ নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।

জনাব,

আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ‘মাস্তানদের উপদ্রব ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’ শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। সামাজিক সমস্যাভিত্তিক এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করে এবং পাঠকের অবাধ মতামত প্রকাশের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এ মহৎ উদ্দেশ্যকে সার্থক মাস্তানদের উপদ্রব ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি— জনজীবন অতিষ্ঠ হেতম খান রাজশাহী মহানগরীর অন্তর্ভুক্ত একটি জনবহুল এলাকা। এখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বাস। সম্প্রতি এলাকাটি মাস্তানদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এ-এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণ আজ অসহায়। সত্যিকার অর্থে মাস্তানদের কাছে তারা জিম্মি। উঠতি বয়সী ছেলেরা এখানে বেপরোয়া জীবনযাপন করছে।

তারা পাড়ার যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে জটলা পাকায়, অশোভন অঙ্গভঙ্গি করে এবং নানা প্রকার আপত্তিকর মন্তব্য ছোড়ে। . তারা বয়স্ক নারী-পুরুষকে যখন তখন লাঞ্ছিত করে। তারা প্রায় প্রতিদিনই মারামারি আর ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত থাকে দোকান ভাঙচুর, হোটেল ভাঙচুর এ এলাকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এলাকার বাসিন্দারা তাদের ভয়ে সব সময় তটস্থ থাকে। সন্ধ্যার পর এখানকার রাস্তায় যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ মাস্তানরা সংঘবদ্ধভাবে পথচারীকে হয়রানি করে। অস্ত্র দেখিয়ে তারা ঘরি, অর্থ, ব্যাগ ইত্যাদি ছিনতাই করে। মাঝে মাঝে দোকানে দোকানে চাঁদা ওঠায়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এলাকার ব্যবসায়ী কিংবা ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয়। যারা চাঁদা দিতে চায় না, তাদের তারা বেদম মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সম্প্রতি তারা টোবাকো কোম্পানির এক ঠিকাদারের বাসায় আক্রমণ চালায় এবং বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। জীবনের ভয়ে ওই ঠিকাদার অভিযোগ করা তো দূরের কথা টু শব্দটিও করে নি। রাতে তারা যেখানে- সেখানে আড্ডা জমায়। রাত দশটার পরে রাস্তা দিয়ে কোনো ভদ্রলোক হেঁটে যেতে পারে না। সন্ধ্যায় যখন লোডশেডিং হয় তখনই তারা উৎসব জমিয়ে ফেলে। এলাকাটি ক্রাইম জোন হিসেবে পরিচিত এবং এখানকার অনেক খবর ইতোপূর্বে পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।

কিন্তু কোনো প্রতিকার হয় নি। বরং পত্রিকায় ছাপা হলে তাদের অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তাই এলাকার জনগণ মুখ বুজে সব সহ্য করে যাচ্ছে। আমরা আশা করব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় জরুরী পদক্ষেপ নেবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। আমার নাম প্রকাশ না করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিনীত

* হেতম খাঁন, রাজশাহী

আরও দেখুন:

Leave a Comment