উক্তির সংজ্ঞার্থ ও প্রকারভেদ

উক্তির সংজ্ঞার্থ ও প্রকারভেদ নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “ভাষা ও শিক্ষা” সিরিজের,  বাক্যতত্ত্ব বিভাগের উক্তি পরিবর্তন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ।

উক্তির সংজ্ঞার্থ ও প্রকারভেদ

উক্তির সংজ্ঞার্থ ও প্রকারভেদ | উক্তি পরিবর্তন | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

 

কোনো কথকের বাক্ কর্মের নামই উক্তি। বা, কোন কিছু বলার নামই উক্তি। উক্তির অর্থ কথন বা উল্লেখ। উক্তি দুই প্রকার। যথা : ১. প্রত্যক্ষ উক্তি (Direct speech) ২. পরোক্ষ উক্তি (Indirect speech)।

উক্তি পরিবর্তন

উক্তির সংজ্ঞার্থ ও প্রকারভেদ | উক্তি পরিবর্তন | বাক্যতত্ত্ব | ভাষা ও শিক্ষা

১. প্রত্যক্ষ উক্তি (Direct speech) :

যে বাক্যে বক্তার বক্তব্যকে অপরিবর্তিতভাবে উপস্থাপন করা হয়, তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলে। যেমন : রহিম বলল, “আমি তোমাকে চিনি।”

২. পরোক্ষ উক্তি (Indirect speech):

যে বাক্যে বক্তার বক্তব্য অন্যের জবানিতে রহিম বলল, “আমি তোমাকে চিনি।” এই বাক্যে ‘রহিম’–কে উপস্থাপক-কর্তা এবং ‘আমি’-কে উপস্থাপিত কর্তা বা উপস্থাপিত বাক্যের কর্তা বলে চিহ্নিত করা যায়। তাহলে আমরা পাচ্ছি— ‘রহিম বলল’ : উপস্থাপক অংশ; “আমি তোমাকে চিনি”- উপস্থাপিত অংশ; ‘বলল’- উপস্থাপক অংশের ক্রিয়া; ‘চিনি’- উপস্থাপিত অংশের ক্রিয়া

১. প্রত্যক্ষ উক্তির উপস্থাপিত অংশ উদ্ধার চিহ্নের (“ ”) মধ্যে রাখা হয়।

২. পরোক্ষ উক্তিতে উপস্থাপিত অংশের পরিবর্তিত অংশটা উদ্ধার চিহ্নের (“ ”) মধ্যে রাখা হয় না।

৩. প্রত্যক্ষ উক্তিকে পরোক্ষ উক্তিতে পরিণত করার সময় কেবল উপস্থাপিত বাক্যের— সর্বনামের রূপ, ক্রিয়ার রূপ, ক্রিয়া-বিশেষণ এবং কদাচিৎ ক্রিয়ার কাল পরিবর্তন করতে হয়। উপস্থাপক অংশের কোনো পরিবর্তন হয় না। ৪. উপস্থাপক অংশের পরে প্রত্যক্ষ উক্তিতে একটা কমা চিহ্ন (, ) বসে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আরও দেখুন:

Leave a Comment