ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে সারাংশ সারমর্ম

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে সারাংশ সারমর্ম

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে… রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে

 

সারমর্মের আয়তন ঠিক কতটা হবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। সাধারণত মূলের অর্ধাংশ থেকে এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ফলে শব্দসংখ্যা গণনা সারসংক্ষেপের ক্ষেত্রে আবশ্যিক প্রয়োজন। মূলের শব্দ সংখ্যা এবং সংক্ষেপিত অংশের শব্দসংখ্যা উল্লেখ করতে হবে। সারমর্মকে অনেকে ইংরেজি Precis বলে মনে করে থাকেন। Precis রচনায় শীর্ষনাম দেয়ার রীতি রয়েছে। কিন্তু সারমর্মের শীর্ষনাম দেবার প্রয়োজন নেই। দিলে তা অনাবশ্যক বলে বিবেচিত হবে। অবশ্য প্রশ্নপত্রে শীর্ষনাম চাওয়া হলে তখন তা অবশ্যই দিতে হবে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে কবিতা

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে

দেশে দেশান্তরে; উচ্ছৃদুগ্ধ করি পান মরুতে মানুষ হই আরব সন্তান দুর্দম স্বাধীন,

তিব্বতের গিরিতটে নির্লিপ্ত প্রস্তরপুরী মাঝে, বৌদ্ধ মঠে করি বিচরণ।

দ্রাক্ষাপায়ী পারসিক গোলাপ কাননবাসী তাতার নির্ভীক

অশ্বারূঢ়,

শিষ্টাচারী সতেজ জাপান

প্রবীণ প্রাচীন চীন নিশি দিনমান কর্ম-অনুরত,—সকলের ঘরে ঘরে

জন্মলাভ করে লই হেন ইচ্ছা করে।

 

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে

 

ইচ্ছা করে মনে মনে স্বজাতি হইয়া থাকি সর্বলোক সনে  সারমর্ম :

উদার হৃদয়ে পৃথিবীর সব মানুষকে ভালবাসতে পারলেই জীবন সার্থক ও সুন্দর হয়ে ওঠে। বৃহৎ জগতের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বিশ্বের সব মানুষের আত্মীয় হতে পারলে নিজ স্বার্থের শেকলটা ছিঁড়ে যায়। তখন পরের ঘর আর পর থাকে না। সকল মানুষই আপনজন হয়ে ওঠে।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment