আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি সারাংশ সারমর্ম

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি সারাংশ সারমর্ম দেখবো আজ। এই পাঠটি আমাদের ভাষা ও শিক্ষা সিরিজের , সারাংশ সারমর্ম বিভাগের একটি পাঠ।

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি সারাংশ সারমর্ম

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি … রচনাটি ভালোভাবে পড়ে নেবো। এরপর আমরা সারাংশ সারমর্ম তৈরি করবো। তারপর সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়মের দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেব।

 

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি

 

কবি-সাহিত্যিকগণ যখন তাঁদের সাহিত্যের রচনাকে সৃষ্টি করেন তখন মূলকথাটি রসমধুর করে অর্থাৎ খুবই মর্মগ্রাহী করে প্রকাশ করেন। এর মূল লক্ষ্য হল শ্রোতা বা পাঠকের মনকে আকর্ষণ করা। আর এ-জন্যে মূলকথাটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয় ছন্দ, অলঙ্কার, উপমা, দৃষ্টান্ত ইত্যাদি। ফলে মূল বক্তব্যের গায়ে লাগে রসের প্রলেপ। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘শুধু কথা যখন খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, তখন কেবলমাত্র অর্থকে প্রকাশ করে। কিন্তু, কথাকে যখন তির্যক ভঙ্গি ও বিশেষ গতি দেওয়া যায়, তখন সে আপন অর্থের চেয়ে আরও কিছু বেশি প্রকাশ করে। সেই বেশিটুকু যে কী, তা বলা শক্ত। কেননা, তা কথার অতীত; সুতরাং অনির্বচনীয়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

যা আমরা দেখছি, শুনছি, জানছি তার সঙ্গে যখন খুঁজে বের করা একটু কঠিনই হয়। অনির্বচনীয়র যোগ হয়, তখন তাকেই আমরা বলি ‘রস’। অর্থাৎ, সে-জিনিসটাকে অনুভব করা যায়, ব্যাখ্যা করা যায় না।’—এভাবে কথার মধ্যে রস সংযোজনের ফলে মূল কথার আসল চেহারাই যায় পাল্টে ।

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি কবিতা

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার -কূল বাঁধি,

যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি।

যে মোরে দিয়েছে বিষে ভরা বাণ, আমি দেই তারে বুকভরা গান,

কাটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনমভর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

মোর বুকে যেবা কবর বেঁধেছে, আমি তার বুক ভরি, রঙিন ফুলের সোহাগ-জড়ানো ফুল-মালঞ্চ ধরি।

যে মুখে সে কহে নিঠুরিয়া বাণী, আমি লয়ে করে তারি মুখখানি,

কত ঠাঁই হতে কত কী যে আনি সাজাই নিরন্তর— আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।

 

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল বাঁধি

 

আমার একূল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কূল- বাঁধি  সারমর্ম :

নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে পরের উপকার করার মাঝেই সুখ ও জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। এ পৃথিবীতে আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের জন্যে। পরের অঘাত সহ্য করে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করাই যথার্থ মনুষ্যত্বের লক্ষণ।

সারাংশ সারমর্ম তৈরি করার নিয়ম:

সারাংশ সারমর্ম  বলতে কোন বৃহত্তর রচনা, যেমন কোন গবেষণাপত্র, সন্দর্ভ, অভিসন্দর্ভ, পর্যালোচনা, সম্মেলন বিবরণী, বা যেকোন বিষয়ের উপর গভীর বিশ্লেষণী কোন রচনার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদানকারী একটি সংক্ষিপ্ত রচনাকে বোঝায়। সারাংশ সাধারণত রচনার শুরুতে বা কখনো কখনো রচনার শেষে সংযুক্ত করা হয়।

শিক্ষায়তনিক গবেষণায় জটিল গবেষণাধর্মী বিষয়সমূহ সহজভাবে বোধগম্য করে তুলতে সারাংশ ব্যবহৃত হয়। সারাংশ সম্পূর্ণ গবেষণাপত্রের পরিবর্তে একটি ছোট সত্তা হিসেবে কাজ করতে পারে। যেমন, অনেক প্রতিষ্ঠান কোন গবেষণার মূলভিত্তি নির্বাচনে সারাংশ ব্যবহার করে, যা কোন শিক্ষায়তনিক সম্মেলনে পোস্টার আকারে, মৌখিক উপস্থাপনার বা মঞ্চে উপস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে। বেশিরভাগ গবেষণা ডেটাবেজ সার্চ ইঞ্জিনে সম্পূর্ণ গবেষণাপত্র দেওয়ার পরিবর্তে শুরু সারাংশ প্রদান করে থাকে।

আরও দেখুন:

Leave a Comment