আত্মঘাতী বোমাবাজি এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

আত্মঘাতী বোমাবাজি এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা , দরখাস্ত লেখার বিভিন্ন প্রকার ফরমেট রয়েছে। কেউ অফিসের প্রয়োজনে বা অফিস থেকে ছুটি নিতে দরখাস্ত লিখছেন, কেউ বা আবার চাকরির দরখাস্ত লিখছেন, আবার শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে স্কুল-কলেজের প্রধান বরাবরে দরখাস্ত লিখছেন। যদিও কাজের ধরন অনুয়ায়ী আবেদন ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে আপনি যদি একটি আবেদন বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম সঠিকভাবে আয়ত্বে আনতে পারেন, তাহলে যেকোন প্রকারের দরখাস্ত লিখতে অপনার সমস্যা হবে না।একটি নির্দিষ্ট গঠন কাঠামো- নিয়ম অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে যে পত্রের মাধ্যমে আবেদন করা হয়, তাদেরকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলা হয়ে থাকে।

 

আত্মঘাতী বোমাবাজি এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

আবেদন পত্র লেখার নিয়ম আমাদের ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবন সব জায়গায় প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কাজের জন্যই আমাদের বিভিন্ন রকম দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানার দরকার হয়ে থাকে। ছোটবেলায় ছুটির জন্য আবেদন পত্র লেখার নিয়ম শেখা কিংবা পড়াশোনা শেষে চাকরির দরখাস্ত লেখা, বাস্তবিক অর্থে আবেদন পত্র লেখার জন্য সবার মাঝেই প্রথমবার একটি অস্বস্তি অনুভব হয়ে থাকে। তাছাড়া, চাকরির দরখাস্ত লেখার নিয়ম নিয়ে আমাদের একটু বাড়তি সতর্কতাই অবলম্বন করতে হয়। তাই, আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলা কিংবা ইংরেজি যে ভাষাতেই হোক না কেন তা সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আত্মঘাতী বোমাবাজি এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র

তারিখ : ১৫ মার্চ, ২০০০

সম্পাদক,

দৈনিক ইত্তেফাক

১ রামকৃষ্ণ মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩।

 

জনাব, আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকার ‘চিঠিপত্র’ বিভাগে প্রকাশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস মোকাবেলা করুন নতুবা ধ্বংস অনিবার্য” শিরোনামে একটি চিঠি এই সঙ্গে পাঠাচ্ছি। অনুগ্রহ করে তা প্রকাশের সুযোগ করে দিলে বাধিত হব।

ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাস মোকাবেলা করুন সন্ত্রাস বর্তমানে আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি সন্ত্রাস কোনো সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে আটকে নেই, সারা দেশ জুড়ে এর সহিংস বিস্তার ঘটেছে। এমনকি নতুন মাত্রাও পেয়েছে : সহিংস সন্ত্রাসের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে বোমাবাজি, অতি সম্প্রতি গ্রেনেড হামলা ও আত্মঘাতী বোমাবাজি। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে বোমাবাজির মতো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।

মুহূর্তের মধ্যে ছিনিয়ে নিচ্ছে শত শত মানুষের অমূল্য জীবন, ভেঙে দিচ্ছে তাদের সাজানো সংসার। দেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ কেউই রেহাই পাচ্ছে না এর থেকে। চারদিকে সন্ত্রাসী তৎপরতা এমনভাবে অক্টোপাসের মতো আকড়ে ধরেছে যে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা কারোর নেই। মানুষ আজ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসের নগ্ন ছোবল থেকে আজ আর কেউই নিরাপদ নয়। এ কারণে আজ সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে, ‘সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ চাই’। আমিও এ দাবি সমর্থন করে সন্ত্রাসের কারণ ও তা রোধের ব্যাপারে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য সুপারিশ করছি।

 

আত্মঘাতী বোমাবাজি এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে দৈনিক পত্রিকার সম্পাদককে পত্র | আবেদন পত্র | ভাষা ও শিক্ষা

 

(১) এখন এটি আর কারো অজানা নয় যে, রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। ১ জানুয়ারি, ২০০৫, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তেও এর পক্ষেই মত দেওয়া হয়েছে। তাই সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের স্বাক্ষর রাখতে হবে।

বস্তুত সন্ত্রাসরোধে সুস্থধারার রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। (২) দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের গডফাদারসহ তাদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বোমাহামলার কারণ ও সূত্র খুঁজে বের করে দুষি ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। (৩) বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার ভয়াবহ পরিণতি থেকে রাজনৈতিক নেতা ও জনগণকে রক্ষা করতে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অবসানের জন্য আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ। (৪) বোমাবাজি ও আত্মঘাতী বোমাহামলা ঠেকাতে রাজনৈতিক জনসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওরস শরিফ এ ধরনের অনুষ্ঠানে ভিডিওর ব্যবস্থা সহ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। (৫) সম্প্রতি সন্ত্রাস দমন আইন পাস হয়েছে।

এতে করে সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে এমনটি বলা যায় না। কারণ এখনও প্রতিনিয়তই খুন, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির তৎপরতা হরহামেশাই ঘটছে। (৬) সন্ত্রাসের মতো ভয়ঙ্কর এই জটিল সমস্যাটি কারো একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই জাতীয় স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসের মোকাবেলা করতে হবে নতুবা ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়বে।

বিনীত নিবেদক

পার্বতীপুর, দিনাজপুর।

‘খ’; ফুলতলা, খুলনা ।

আরও দেখুন:

Leave a Comment